—প্রতীকী চিত্র।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঘরে ফেরা এক বিজেপি কর্মীকে মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী খোকন হালদার
বৃহস্পতিবার বাসন্তী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে হামলার অভিযোগ মানেননি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তী থানার অন্তর্গত চুনাখালি পঞ্চায়েতের বড়িয়া পুকুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খোকন বিজেপির সক্রিয় কর্মী। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময়ে তাঁর উপরে হামলা হয়। বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট করা হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া ছিলেন তিনি। সে সময়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও লাভ হয়নি বলে দাবি ওই বিজেপি কর্মীর। পরে হাই কোর্টে মামলা করেন খোকন।
সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে, প্রশাসনের সাহায্যে বাড়িতে ফিরেছেন। অভিযোগ, এলাকায় ফিরতেই ফের তাঁর উপরে হামলা শুরু হয়েছে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার পথে বাইকে করে এসে দুই তৃণমূল কর্মী তাঁর উপরে হামলা চালান বলে অভিযোগ। এমনকি গুলিও ছোড়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “এলাকায় ফিরে আসার পর থেকেই আমার উপরে অত্যাচার শুরু হয়েছে।’’ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলকে বদনাম করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি। পুলিশ তদন্ত করলেই সত্যিটা সামনে আসবে।”