বিশ্বজিৎ অধিকারী।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কাশ্মীরে কর্মরত এক বাঙালি সিআরপি জওয়ানের। বীরভূমের কীর্ণাহারের আলিগ্রামের বাসিন্দা ওই জওয়ানের নাম বিশ্বজিৎ অধিকারী (৩৬)। তাঁর পরিজন জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবরটুকুই তাঁদের জানানো হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তাঁরা এখনও অন্ধকারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে সিআরপির ১১০ নম্বর ব্যাটেলিয়নে যোগ দেন বিশ্বজিৎ। বর্তমানে তিনি শ্রীনগরের পুলওয়ামায় কর্মরত ছিলেন। পরিজনেরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর আসে। বিশ্বজিতের এক সম্পর্কিত দাদা, অভিজিৎ অধিকারীও কাশ্মীরে সিআরপি জওয়ান হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘‘ইউনিট থেকে ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরটুকুই জানানো হয়েছে। কারণ আমরা এখনও জানতে পারিনি।’’
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় বিশ্বজিতের বিয়ে হয় বছর বারো আগে। বছর দশেক ধরে স্ত্রী নবনীতা ও ছেলে আকাশকে নিয়ে তিনি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বাড়ি করে থাকতেন। ছুটি পেয়ে কাশ্মীর থেকে যখন কাটোয়া আসতেন তখন বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে কীর্ণাহারে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। এক বেলা কাটিয়ে কাটোয়া ফিরে যেতেন তিনি।
বিশ্বজিতের বাবা গৌরাঙ্গ অধিকারী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর থেকে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই মা কৃষ্ণা। বিশ্বজিতের জেঠু রঞ্জিৎ অধিকারী বলেন, ‘‘এ বার কালীপুজোতেই বাড়ি এসেছিল। ছুটি পেলে আবার আসব বলে গিয়েছিল। সেটা আর হল না।’’ নানুরের বিডিও সন্দীপ সিংহরায় বলেন, ‘‘আমরা খবর পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’