মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
বেঞ্চ বদল হল নন্দীগ্রাম ভোট মামলার। বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে উঠল ওই মামলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মতো আগেই এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। ফলে ওই মামলার জন্য নতুন বেঞ্চ তৈরি করা হল। সোমবার হাই কোর্ট সূত্রে খবর, বিচারপতি চন্দের সরে দাঁড়ানোর পর এই মামলা উঠছে বিচারপতি সরকারের বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহেই নতুন বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নন্দীগ্রাম আসনে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন করেছিলেন মমতা। বিবাদী পক্ষ হিসাবে তাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। নির্বাচন সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর ওই মামলাটি প্রথম ওঠে বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে। তাতে আপত্তি জানান নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি-র পূর্ব যোগ রয়েছে। ফলে তাঁর এজলাসে বিচার হলে ‘নিরপেক্ষ’ বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে! মমতার ওই দাবি মতো গত সপ্তাহে নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি চন্দ। সেই সঙ্গে মামলাকারী মমতাকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন তিনি। বিচারব্যবস্থাকে কলুষিত করা হয়েছে বলেই এই জরিমানা, জানিয়েছেন তিনি।
বিচারপতি চন্দের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। যদিও এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হননি মুখ্যমন্ত্রী। তারই মধ্যে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল হল। মমতা ও শুভেন্দু- এই দুই ওজনদারের মামলা শুনবেন বিচারপতি সরকার। তবে শুনানির দিন এখনও পর্যন্ত ধার্য হয়নি। হাই কোর্টে সূত্রে খবর, এই সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে।
ভোটের ফল পুনর্গণনা আবেদন নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯টি ইলেকশন পিটিশন দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এর প্রত্যেকটির জন্যই আলাদা আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। কোনও এক বিচারপতির বেঞ্চে দু’টি ইলেকশন পিটিশন ওঠেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুধুমাত্র মমতার মামলাটিই বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে উঠেছিল। এ ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও ইলেকশন পিটিশন ওই বেঞ্চে ওঠেনি। এক আইনজীবীর কথায়, ‘‘হাই কোর্টের মাস্টার অফ রোস্টার হিসাবে প্রধান বিচারপতিই ঠিক করেন কোন মামলা কোন বেঞ্চে যাবে। তাই এই ঘটনার পিছনে একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তবে এই ঘটনা যে বিরল এমনটাও নয়।’’