খুনের অভিনয়। মধ্যমগ্রামের উড়ালপুলে বুধবার অভিযুক্তদের নিয়ে হাজির হল পুলিশ। তারা দেখাল, কী ভাবে গাড়ি আটকে খুন করা হয়েছিল জমি মাফিয়া বাবু সেন ও তার সঙ্গীকে। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
সে-দিনটাও ছিল বুধবার। চলতি মাসের ৬ তারিখ, বুধবার মধ্যমগ্রামের উড়ালপুলে গাড়ি থামিয়ে গুলি করে মারা হয়েছিল জমি-মাফিয়া বাবু সেন এবং তার সঙ্গী নিতাই পাল ওরফে নুঙ্কাইকে।
ঠিক ১৪ দিন পরে, ২০ মে, বুধবার বিকেল ৫টায় ফের সেই দৃশ্য দেখল মধ্যমগ্রাম। ওই উড়ালপুলে ওঠার মুখেই আবার একটি গাড়ির পথ আটকাল একটি স্করপিও গাড়ি এবং দু’টি মোটরবাইক। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নেমে পড়ল বাবু সেনের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তেরাই। ভয় পেয়ে পালানোর আগেই সাধারণ মানুষ টের পেলেন, জোড়া খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিশাল পুলিশবাহিনী।
আসলে কী ভাবে বাবু সেন ও নুঙ্কাইকে খুন করা হয়েছিল, ধৃতদের ব্যবহার করেই সেটা বুঝে নিতে চাইছিলেন তদন্তকারীরা। তাই ধৃত ন’জন দুষ্কৃতীকে এ দিন ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের পর দৃশ্য অভিনয় করে জোড়া খুনের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিল তারা। অভিযুক্তদের কথামতো পুলিশ প্রথমে তাদের নিয়ে যায় মধ্যমগ্রামের বীরেশ পল্লিতে। অভিযুক্তেরা জানায়, ঘটনার দিন ওখানেই অপেক্ষা করছিল তারা। তার পরে উড়ালপুলে পৌঁছে কী ভাবে বাবুদের খুন করা হয়েছিল, তা দেখিয়ে দেয় ধৃতেরা।
এ দিনই দমদম থানার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধরা পড়ে নাভাস কর্মকার
নামে ওই মামলায় অভিযুক্ত আরও এক দুষ্কৃতী। মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ এ দিন জানান, এলাকায় নজরদারি বাড়াতে ওই উড়ালপুলের দু’পাশে কাকলি ঘোষদস্তিদারের সাংসদ কোটার ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ১৪টি সিসিটিভি বসানো হবে।