আছাড়ে জখম হয়ে হাসপাতালে শুয়ে ৮ বছরের সুমন।
আট বছরের একটি বাচ্চা ছেলেকে আছাড় মারলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, বাচ্চাটি নাকি ঢিল ছুড়েছে ওই ব্যক্তির দোকানের দিকে। সত্যি ছেলেটি ঢিল ছুড়েছে কি না তাও জানা যায়নি। শুধু সন্দেহের বশেই ছেলেটিকে তুলে আছাড় মারা হয়। গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন বিশ্বাস নামে ওই বালক। তার পিঠে চিড় ধরেছে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা ।
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে শুক্রবার রাতে হওয়া সেই অমানবিক ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। দেখা যাচ্ছে, একটি বাচ্চা ছেলেকে তুলে আছাড় মারছেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি রঘুনাথগঞ্জ সদরঘাটের মুদিখানা দোকানের মালিক সোমনাথ দত্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ বছরের সুমন তার মা-বাবার সঙ্গে রঘুনাথগঞ্জেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার মা কাজরি বিশ্বাস পরিচারিকার কাজ করেন এবং বাবা দোকান কর্মচারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি চায়ের দোকানে টিভি দেখছিল সুমন। তখনই তাকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসাধীন সুমন জানিয়েছে, ‘‘আমাকে বিনা কারণে সোমনাথ দত্ত রাস্তায় টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। আমি কোনও দোকানে ঢিল ছুড়িনি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: পানের দোকানে ৫২ দেশের নোট, ফারাক্কায় রিজুর গুমটি যেন মুদ্রা মিউজিয়াম
সুমনের মা কাজরি বিশ্বাসেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেছেন, ‘‘শুক্রবার রাতে সুমনের বন্ধুরা বাড়িতে এসে খবর দেয়। আমি দোষীর শাস্তি চাই।’’ এলাকার বাসিন্দারাও দোষী ব্যবসায়ীর শাস্তি চেয়েছেন। আজ কাজরি রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত সোমনাথ দত্ত ঘটনার পর থেকেই এলাকাছাড়া। শনিবার সকালেও দোকান খোলেননি। তাঁর পরিবারের লোকেরাও এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।