কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে কান্না কাঠমিস্ত্রিদের। ছবি: শৌভিক দে।
তানজানিয়া থেকে ফিরলেন নদিয়ার হাঁসখালির পশ্চিম হরিণডাঙার আট বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন তাঁরা।
আট জনই কাঠমিস্ত্রি। মোটা অঙ্কের মাইনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সুব্রত মণ্ডল, সুজিত মণ্ডল, গোবিন্দ সরকার, বিদ্যুৎ বিশ্বাস, বাপি মণ্ডল, শ্যামল সন্ন্যাসী ও প্রতাপ ভক্ত নামে ওই আট জনকে অক্টোবরের শেষে তানজানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পরে দেখা যায়, আট জনেরই ভিসার নথিতে গোলমাল রয়েছে। তার পরে বেআইনি ভাবে তানজানিয়ায় থাকার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বিদ্যুৎ বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রী নীপাকে। বিমানবন্দরে যেতে না-পারলেও নীপা অন্যদের কাছে বারবার জানতে চাইছিলেন, ‘‘ওর ফিরতে আর কত দেরি?’’
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারম্যান শেখ জিন্নার আলি এ দিন দাবি করেন, তাঁরাই তানজানিয়ার এজলাসে আইনজীবী দাঁড় করিয়ে এই আট জনকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় কাজের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে।’’ তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য আদালতে জনস্বার্থ মামলা করা হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন জিন্নার।
বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানায় সনেকপুরের বাসিন্দা কবীর হোসেন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, জুলফিকার আলি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি কবীরের মাধ্যমে বিদেশে যান। সেখানে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। সেই জুলফিকার জানান, তিনি যাতে কবীরের নামে অভিযোগ না-করেন, সেই জন্য তাঁকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘চক্রের সকলকে ধরা হবে। ভয় দেখানোর অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’