RG Kar Rape and Murder Case

গাড়িও বাজল না, ‘ধর্ষক-খুনি’ও নীরব! কেমন গেল আরজি কর মামলায় শুনানির ষষ্ঠ দিন?

প্রথম শুনানির দিন থেকেই আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্ত চিৎকার করে দাবি করে এসেছেন, তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে মঙ্গলবার আর কথা বলার চেষ্টাও করলেন না অভিযুক্ত! কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই বসে রইলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৮
Share:

মঙ্গলবার আরজি কর মামলায় শুনানির ষষ্ঠ দিন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

মঙ্গলবার ছিল আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় শুনানির ষষ্ঠ দিন। রোজকার মতো শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে আজ তিনি নীরব! মঙ্গলবার আর কথা বলার চেষ্টাও করলেন না অভিযুক্ত, কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চুপ করে বসে রইলেন।

Advertisement

প্রথম শুনানির দিন আরজি কর-কাণ্ডের অভিযুক্ত চিৎকার করে দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এর পর একাধিক বার তাঁকে পুলিশের প্রিজ়ন ভ্যান কিংবা অন্য গাড়ির ভিতর থেকে সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে শোনা গিয়েছে। প্রতি বারই তিনি দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। এমনকি, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নামও করেছেন তিনি। সোমবারও গাড়িতে করে নিয়ে আসার সময়ে সংবাদমাধ্যম এবং উপস্থিত মানুষদের উদ্দেশে কিছু বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর গলার স্বর চাপা দিতে আদালত চত্বরে জোরে জোরে গাড়ির ছাদ চাপড়াতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে বাজানো শুরু হয় প্রিজ়ন ভ্যানের হর্ন। এত আওয়াজে চাপা পড়ে যায় ধৃত সিভিকের স্বর। তবে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানোর সময় তাঁকে আর কিছু বলতে শোনা যায়নি। পুলিশকেও হর্ন বাজাতে কিংবা গাড়ির ছাদ চাপড়াতে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত, আরজি কর মামলায় ধৃত সিভিককেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর থেকে আদালতে রোজ এই মামলার শুনানি চলছে। শিয়ালদহ আদালতে মঙ্গলবার ছিল ওই মামলার শুনানির ষষ্ঠ দিন। দুপুর নাগাদ শুনানি শুরু হয়। একে একে সাক্ষ্য দেন তিন সাক্ষী। সোমবার এক চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পূর্ণ না হওয়ায় মঙ্গলবার শুনানির প্রথম ভাগেই তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের এক ফোটোগ্রাফার এবং হাসপাতালের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের কর্মী এক ব্যক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement