—নিজস্ব চিত্র।
দিনহাটা থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, কোচবিহারের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের উদ্দেশ্যে দিনহাটার ভরত কলোনিতে একটি ভাড়াবাড়িতে জমায়েত হয়েছিল দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ১০ রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি দিনহাটায়। এ ছাড়া, অপরাধমূলক কাজের জন্য উত্তরপ্রদেশ এবং অসম থেকে ৩ জনকে ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর বলেন, “ভরত কলোনিতে বাসুদেব সরকার নামে এক ব্যক্তি একটি বাড়ি ভাড়া করেছিলেন। দিনহাটার বাসিন্দা বন্ধন রায় এবং ভারত বর্মণ ২টি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেই বাড়িতে আসে। তাদের কাছ থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ওই ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রাজেশ কুমার, শিবম সাহু এবং অসমের বাসিন্দা সঞ্জয় পাসওয়ান। মূলত অপরাধমূলক কাজের জন্য দুষ্কৃতীদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল। এরা মাদক পাচারের সঙ্গেও যুক্ত।”
পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে কোচবিহার রাজপ্রাসাদের উল্টো দিকের একটি মদের দোকানের মালিককে অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তারা জমায়েত হয়েছিল।
এর আগেও কোচবিহার জেলার দিনহাটা থেকে অস্ত্রপাচারকারীদের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বহু আগ্নেয়াস্ত্রও। তবে দিনহাটায় বেআইনি অস্ত্রপাচারে রাশ টানতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সুপার বলেন, “এর আগেও বহু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তার সঙ্গে দিনহাটার যোগসূত্র রয়েছে। তাই দিনহাটার উপরে বিশেষ নজর রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে। দিনহাটায় বাংলাদেশ সীমান্তে এমন বহু জায়গা রয়েছে, যা সুরক্ষিত নয়। বিহারের বেগুসরাই এবং কিসানগঞ্জ থেকে অস্ত্র নিয়ে সেখানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই সমস্ত কেসগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দিনহাটার এক অস্ত্র কারবারি মণিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রে দিনহাটার একটি যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। তাই নতুন ভাবে পুরনো কেসগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”