পশ্চিমবঙ্গে নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর। সে জন্য ভোটার কার্ড-সহ বিভিন্ন নথি জাল করেছিল এ রাজ্যে ধরা পড়া জেএমবি-র ছয় জঙ্গি। ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়ে আদালতে শুক্রবার এই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের ৮৭ দিনের মাথায় এ দিন ধৃতদের বিরুদ্ধে নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তাতে প্রতারণা, জালিয়াতি-সহ বিভিন্ন অভিযোগের ধারা দেওয়া হলেও দেশবিরোধী কার্যকলাপের কোন ধারা (ইউএপিএ) যোগ করা হয়নি। তবে বেআইনি অনুপ্রবেশের ধারা দেওয়া হয়েছে কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পরে ধৃতদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের ধারা যুক্ত করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি তাঁরা পেয়েছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি ফরেন্সিক রিপোর্টের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। সেগুলি হাতে এলে ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ধারাও যুক্ত করা হবে।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত ২৬ সেপ্টেম্বর মৌলানা ইউসুফ ওরফে বক্কর ওরফে আবু, মহম্মদ শাহিদুল ওরফে সূর্য ওরফে শামিম, মহম্মদ রফিক ওরফে রুবেল,আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে ইনাম ওরফে কালুভাই, আব্দুল কালাম ওরফে কলিম এবং জাহিদুল শেখ ওরফে জাফর ওরফে জাবিরুলকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। জেএমবি-র শীর্ষ সংগঠকদের অন্যতম মহম্মদ ইউসুফ খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। সেই ঘটনার পর থেকেই সে ফেরার ছিল। বর্ধমানের আবুল কালামও ওই মামলায় অভিযুক্ত। দু’জনের নামই খাগড়াগড় মামলায় চার্জশিটে রয়েছে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এনআইএ ওই দু’জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিক ইনাম ওরফে কালুভাইয়ের সঙ্গে খাগড়াগড় মামলার কোনও সম্পর্ক না-মিললেও পুলিশের দাবি, ইনামই এই রাজ্যে জেএমবি-র সর্বোচ্চ নেতা। অন্য দিকে উত্তর-পূর্ব ভারতে জেএমবি-র প্রধান শহিদুল ইসলাম, রফিক ও বাংলাদেশি নাগরিক জবিরুল ইসলাম এ রাজ্যে নাশকতা ঘটাতেই এ দেশে ঢুকেছিল বলে পুলিশের দাবি।