কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র পক্ষে ভোট করার অভিযোগে তৃণমূলের ৫ নেতাকে সাসপেন্ড করার দাবি তুললেন মালদহের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লক নেতৃত্ব। সেই দাবি মেনে দল থেকে বহিষ্কার করা হল কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস, মালদহ জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চম্পা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী দ্বিজেন মণ্ডল, হামিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জুলেখা বিবি এবং গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমিরুল ইসলামকে। জেলা নেতৃত্ব এই ৫ নেতার রিপোর্ট সংগ্রহ করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমাও দিয়েছেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে মোথাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরোধিতা করেন ওই ৫ নেতা-নেত্রী। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য এলাকায় গোপনে প্রচারও করেন ওই ৫ জন। শুধু তাই নয়, দলের অভ্যন্তরেও বিরোধিতা করেন। এ সব তথ্য জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ে। এর পরেই ব্লক নেতৃত্বের দাবিকে মান্যতা দিয়ে সাসপেন্ড করা হয় ওই ৫ জনকে।
জেলা বিজেপি-র সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ চম্পা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তবে বাকি সদস্যরা এখনও যোগ দেননি। মোথাবাড়িতে বিজেপি প্রার্থী প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুধীর দাস জানান, নির্বাচনের সময় দলের অভ্যন্তরে থেকে দলবিরোধী কাজ করেছেন ওই ৫ জন। তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই দলবিরোধী কাজে জড়িত ওই ৫ জন। সরকারি প্রকল্পের অর্থ মানুষের কাছে কাছে পৌঁছত না। লুঠ করতেন ওঁরা। দলের কাছে দীর্ঘ দিন ধরে এই অভিযোগ করছিলেন এলাকাবাসী। বিধানসভা নির্বাচনেও দলবিরোধী কাজের প্রমাণ হাতে এসেছে। যা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।”
যদিও টিঙ্কু রহমান বিশ্বাসের দাবি, ‘‘এ সব মিথ্যা অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এখনও বহিষ্কারের কোনও চিঠি পায়নি আমি।’’