Doctor’s Pen Down

৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের, শুধু জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে

৪৮ ঘণ্টা আংশিক কর্মবিরতির কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জরুরি বিভাগ ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। ফলে রোগী-ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৫
Share:

ডোরিনা ক্রসিংসের সামনে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাংবাদিক বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবার থেকে আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। শনিবার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর (সোমবার) সকাল ৬টা থেকে ১৬ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ৬ পর্যন্ত আংশিক কর্মরিরতি চলবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত বলে জানালেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

৪৮ ঘণ্টা আংশিক কর্মবিরতির কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জরুরি বিভাগ ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। ফলে রোগী-ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘এটা শুধু ডাক্তারদের আন্দোলন নয়, এটা জনগণের আন্দোলন। জনগণ প্রথম থেকেই চিকিৎসকদের পাশে রয়েছেন। আমরা জনগণের কথা ভেবে জরুরি ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু থাকবে। কোনও রোগীর কোনও অসুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, যদি কখনও কোনও জরুরি অবস্থা হয়, তখন যে কোনও সময়ে হাসপাতালে যাবেন, চিকিৎসকেরা সব সময় সাহায্য করবেন।’’

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শুরু থেকেই পাশে থেকেছেন সিনিয়র ডাক্তারেরা। আন্দোলনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। মিছিলে হেঁটেছেন, স্লোগানও তুলেছেন। শুধু সরকারি হাসপাতালগুলি নয়, গত দু’মাসে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও ব্যক্তিগত স্তরে আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সময় যত এগোচ্ছে, তত জোরালো হয়েছে প্রতিবাদের স্বর। শনিবার ধর্মতলা চত্বর থেকেই দু’দিনের আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চের অদূরে এক হোটেলের কনফারেন্স রুম বুক করে সাংবাদিক বৈঠকের পরিকল্পনা করেছিলেন শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। আরজি কর আন্দোলন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি ‘আংশিক কর্মবিরতি’ ঘোষণা সেখান থেকেই করবেন ভেবেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, শনিবারের জন্য ওই হোটেলের কনফারেন্স রুম বুকিং করতে প্রাথমিক ভাবে কথা বলেছিলেন তাঁরা। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছিল। কিন্তু গোল বাধে বুকিংয়ের জন্য টাকা দিতে গেলে। তখন তাঁদের জানানো হয়, বুকিং নেওয়া যাবে না। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। দেখা গেল, শনিবার বিকেলে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement