—প্রতীকী ছবি।
এ বার ৩৫ জন স্কুল শিক্ষকের বদলির তালিকা প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যে সব স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত শিক্ষক আছেন, সেখান থেকে তুলনায় কম শিক্ষক এবং বেশি পড়ুয়া থাকা স্কুলে এই প্রশাসনিক বদলি করছে শিক্ষা দফতর।
গত এপ্রিলে মোট ৬০৩ জন শিক্ষকের বদলির সুপারিশপত্র দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। রিভিউ করার পরে ১১২ জন ওই তালিকা থেকে বাদ যান। বাকিদের কয়েক দফা ধরে বদলি করা হচ্ছে। এর আগেও তিন দফায় শিক্ষকদের বদলি তালিকা প্রকাশ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রথমে ৭৭ জন, তারপর ৫৫ এবং ৪৫ জন। এ দিন শুক্রবার চতুর্থ দফায় ৩৫ জন শিক্ষকের বদলির তালিকা প্রকাশ করল তারা।
এ দিন বদলির তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে ফের ক্ষোভ তৈরি হয় শিক্ষকদের মধ্যে। দমদমের এক শিক্ষিকা জানান, তাঁকে বদলি করা হয়েছে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে, ফারাক্কায়। অন্য এক স্কুল শিক্ষকের অভিযোগ, তাঁকে ব্যারাকপুর থেকে ২৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে মুর্শিদাবাদে বদলি করা হয়েছে। দমদমের ওই শিক্ষিকা বলেন, "শিক্ষা দফতর বদলির নির্দেশ দিলে আমাকে যেতেই হবে। কিন্তু আশেপাশেও এমন অনেক স্কুল আছে, যেখানে ছাত্রের সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষক অনেক কম। সেখানে কি বদলি করা যেত না?"
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সংগঠনের নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, "ব্যারাকপুরের যে শিক্ষককে মুর্শিদাবাদে বদলি করা হয়েছে, তাঁর কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁকে বদলি করা হল। শিক্ষকদের এ ভাবে বদলি অনৈতিক। এই বদলিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। তার মধ্যে কী ভাবে এই বদলি হচ্ছে?"
আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি আছে বলে জানিয়েছেন অনিমেষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তার দাবি, পুরোটাই আইন মেনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বা কোনও তরফ থেকে এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি।