দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি। নিজস্ব চিত্র।
বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হল তিন জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন এক জন।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন রাত তিনটে নাগাদ বেলঘরিয়া থানার কাছে বিটি রোডের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক এবং এক মহিলার।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি আগরপাড়ার দিক থেকে কলকাতায় আসছিল। দুর্ঘটনার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফুলবাগানের বাসিন্দা টুম্পা দাস (১৯) এবং গাড়ির চালক মহম্মদ ফারহান (২১)-এর। গুরুতর আহত হন ঝিলিক দত্ত নামে আরও এক তরুণী।
পুলিশ জানিয়েছে, নারকেলডাঙার বাসিন্দা ফারহান জামাইবাবুর গাড়ি নিয়ে কামারহাটির দিকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বান্ধবী। ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফারহান। গাড়িতে তাঁর পাশের আসনেই বসে ছিলেন টুম্পা। পিছনের আসনে বসেছিলেন ঝিলিক।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা রইল বাকি, পথেই মৃত্যু ছাত্রের
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিত্য দিনই বিটি রোডের দু’ধারে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক লরি। ফলে গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তা অনেকটাই সরু হয়ে যায়। এ বিষয় পুলিশ-প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্য দিকে সোমবার সকাল সওয়া ৮টা নাগাদ দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানার পি পি মজুমদার রোডে। বেপরোয়া একটি গাড়ি এক মহিলাকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় গৌরী খান (৭০) নামে এক মহিলা গুরুতর জখম হন। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চালক অনিন্দিতা রায়-সহ পুলিশ সেই গাড়িটিকে আটক করেছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই গাড়ির গতি বেশি ছিল। সে কারণেই নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনি।