বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
দশম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ধর্ষণ করলেন মাড়গ্রামের এক যুবক। বৃহস্পতিবার পনেরো বছরের মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন তার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁদের ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার একডালা গ্রামে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তার বাবা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান এক যুবক। সেখানে দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯, ২১ এবং ২২ বছরের ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামালা রুজু করা বয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ। পাশাপাশি, ওই নাবালিকার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য তাকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাবালিকার পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে একাই বেরিয়েছিল মেয়েটি। বাড়িতে সে জানিয়েছিল, তার কিছু কাজ রয়েছে। নাবালিকার দাবি, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ নলহাটির পাখা গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে যান ২২ বছরের এক যুবক। এর পর তাকে একডালা গ্রামের মাঠে নিয়ে যান তিনি। সেখানে তাঁর দুই বন্ধু আসে। এর পর ৩ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পেশায় রাজমিস্ত্রি মেয়েটির বাবা বৃহস্পতিবার বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই তিন জনের বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাস্থল মাড়গ্রাম থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কেসটি ওই থানায় রেফার করা হয়। এর পর মাড়গ্রাম থানায় গণধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। তাঁর অভিযোগ পেয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
২২ বছরের যুবকটি ছাত্রীর পূর্বপরিচিত বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। মেয়েটির বাবা বলেন, ‘‘কাজের জন্য গত কাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বাড়ি ফিরিনি। বাড়ি ফিরে শুনি, মেয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজাখুঁজি করেও ওকে পাইনি। ৩ জন ছেলে মিলে মেয়েকে গণধর্ষণ করেছে। আমি ওদের শাস্তি চাই।’’
এই মামলায় সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ৩ জন অভিযুক্ত মিলে মেয়েটিকে বাইকে করে একডালিয়া মাঠের কাছে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের পকসো আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাঁদের ২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’
শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৫ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। তবে তাঁদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।