ফাইল চিত্র।
রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পুরো পরিবারের ২৫ জনের চাকরি হয়েছে বলে এ বার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিজেপি তো প্রকাশ্যেই প্রচার করছে, বাম থেকে তৃণমূল আমল দুই সময়েই চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। না হলে একই পরিবারের এত জন কী ভাবে চাকরি পান। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে পরেশ অধিকারীকে আরও হেয় করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এর মধ্যে রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই। পরেশ অধিকারীকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “বিরোধীরা কিছু ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। এর মধ্যে রাজনীতি ছাড়া কিছু নেই।” ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকতে পরেশ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এ কথা মানতে নারাজ বামেরাও।
পরেশ অধিকারী বাম আমলে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। বিজেপি অভিযোগ করেছে, ওই সময় থেকে শুরু করে তার আগে ও পরে পরেশ অধিকারীর আত্মীয়রা চাকরি পেয়েছেন । তার মধ্যে খাদ্য দফতরও রয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হন পরেশ। দুর্নীতির আশ্রয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পরেশের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের রায়ে তাঁর মেয়ের চাকরি গিয়েছে। এমনকি চার বছর ধরে পাওয়া বেতনও ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় পরেশের বিরুদ্ধে আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। এর মধ্যে পরেশের আত্মীয়রা চাকরি পেয়েছে বলে একটি পোস্ট ভাইরাল করে দেওয়া হয়। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, “একটি পরিবারের প্রত্যেকেই চাকরি করছেন। অথচ অন্য শিক্ষিত পরিবারের হাজার হাজার বেকার। সব কিছুরই তদন্ত হওয়া উচিত।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।