মাস দুয়েক আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল হিঙ্গলগঞ্জের শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা মিশনের গদাধর পাঠশালার শিক্ষিকা ফুলরেণু সরকারকে। সেই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে, এত দিন পরে সেই খুনে জড়িত এক জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
কনেকনগর গ্রামে ফুলরেণুদেবীর বাড়ি। গত ১৩ জুলাই রাতে তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আত্মরক্ষার জন্য একটি টর্চ নিয়ে দুষ্কৃতীদের ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন ওই শিক্ষিকা ঘটনাস্থল থেকে সেই টর্চটি এবং বেশ কিছু নমুনা পুলিশ সংগ্রহ করে ফরেন্সিক তদন্তে পাঠায়। দিন কয়েক আগে সেই তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে। তার ভিত্তিতেই পুলিশের দাবি, ফুলরেণুদেবীর এক আত্মীয়ের সঙ্গে ওই টর্চ এবং নমুনার হাতের ছাপ মিলে গিয়েছে। শীঘ্রই তাকে ধরা হবে। ফুলরেণুদেবী এবং ওই আত্মীয় একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে দু’জনের বিবাদ চরমে উঠেছিল।
তবে, পুলিশের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ এক এক সময়ে এক এক রকম দাবি করছে। পুলিশ কোনও কারণে আসল দুষ্কৃতীকে আড়াল করতে চাইছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ। ওই শিক্ষিকা খুনের পরে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে হামলার অভিযোগে পুলিশ ন’জনকে গ্রেফতার করে। তা নিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এখনও কমেনি। খুনের ঘটনার কিনারা না হওয়ায় ভয়ে ভক্তদের প্রতিষ্ঠানে আনাাগোনা কমছে বলে দাবি শ্রীরামকৃষ্ণ সেবা মিশন কর্তৃপক্ষের।