ধর্ষণ ও খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই যুবককে বুধবার বেকসুর মুক্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি তপেন সেন এবং অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়।
ওই দুই যুবকের আইনজীবী শেখর বসু এবং কল্লোল মণ্ডল জানান, ২০০২ সালের ১৬ এপ্রিল গোসাবা থানার পশ্চিম রাধাননগর গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে স্থানীয় একটি কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটির কাকা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ভাইঝি আত্মঘাতী হয়েছে। ঘটনার দশ দিন পরে মেয়েটির বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, দীপঙ্কর মির্দা নামে পাড়ার এক যুবক তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেন। তার জেরে মেয়ে গর্ভবতী হয়।
দীপঙ্কর ও তাঁর সঙ্গী অরুণ মণ্ডল মেয়েকে খুন করে বাঁশবাগানে ঝুলিয়ে দেয়। ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করে চার্জশিট পেশ করে নিম্ন আদালতে। বারুইপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত ২০০৭ সালের ১৬ মে দীপঙ্কর ও অরুণকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয়।
আইনজীবীরা জানান, ওই দুই যুবকের পক্ষ নিয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা হয়। আদালতে জানানো হয়, ঘটনার সময় কিশোরীর পরিবারের কেউ ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ জানাননি। এমনকী, পাড়ার কোনও লোকও দীপঙ্করের বিরুদ্ধে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগ জানায়নি। পাড়ার কোনও লোককে সাক্ষীও করেনি পুলিশ।
আইনজীবীরা জানান, নিম্ন আদালতের বিচারক জানিয়েছিলেন, ঘটনার পরে দুই যুবক পলাতক ছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে জানানো হয়, কেউ পালিয়ে গেলেই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তি মেনে নিয়েছে বলে আইনজীবীদের দাবি।
ওই দুই যুবক আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এত দিন বন্দি ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁরা মুক্তি পাবেন বলে আইনজীবীরা জানান।