গ্রাম্যবিবাদে লাগল রাজনীতির রঙ। তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই দফায় দফায় সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে অশান্তি ছড়িয়েছে সাগরের কৃষ্ণনগর এলাকায়। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষই।
মাস দেড়েক আগে তৃণমূল সমর্থক চন্দন প্রামাণিকের ভেড়ির মাছ মরে যায়। অভিযোগ, কিছু লোক বিষ ঢেলে মাছ মেরেছে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি হওয়ার কথা ছিল। তার কয়েক দিন আগে গত শুক্রবারই তৃণমূলের কিছু লোক চন্দনবাবুর জমিতে জোর করে ধান কাটতে যায় বলে অভিযোগ। রাতারাতি সেখানে একটি নির্মাণ বানিয়ে ফেলা হয়। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিতে গেলে গোলমাল বাধে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এক জনকে গ্রেফতারও করে। অভিযোগ, পুলিশ গ্রাম ছাড়ার পরে সিপিএমের লোকজন কয়েক জন তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় তাঁদের। অন্য দিকে সিপিএমের অভিযোগ, রবিবার শ’তিনেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সিপিএমের লোকজনের উপরে হামলা চালায়। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। লুঠপাট করা হয়। মহিলাদের মারধরও করে হামলাকারীরা।
সিপিএম নেত্রী তথা রামকরচক পঞ্চায়েতের প্রধান গৌরী মণ্ডল বলেন, “বেছে বেছে সিপিএমের লোকজনের বাড়িতেই হামলা হয়েছে। ১২ জনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।” এই ঘটনায় তাঁদের দলের ১৪ জন জখম হয়েছেন বলেও দাবি প্রধানের। পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে তারা নিতে অস্বীকার করেছে বলেও অভিযোগ গৌরীদেবীর। সে কথা অবশ্য মানতে চায়নি পুলিশ। তেমন কোনও গোলমালের খবরও তাদের কাছে নেই বলে থানা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “জোর করে ধান কাটার ঘটনাতেও তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। নিছকই গ্রাম্যবিবাদ। সিপিএম জোর করে তাতে রাজনীতির রঙ লাগাতে চাইছে।”