সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। —নিজস্ব চিত্র।
ঠাকুরবাড়ি এখন ‘কাদা ছোড়াছুড়ির আখড়া’, মঙ্গলবার গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় লোকসভা উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। মতুয়া ভোটে বুক বেঁধে গত কয়েক দিন ধরেই তোলপাড় রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপি-র তরজা। চলেছে দল ভাঙানোর খেলাও। ছেলেকে প্রার্থী না করায় তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন মন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ। সুযোগ বুঝে, ঠাকুরবাড়ির এই পারিবারিক ভাঙনের আবহে মঞ্জুল-পুত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রয়াত তৃণমূল সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির বড় পুত্রের স্ত্রী টিকিট পেয়েছেন শাসক দলের।
এই ঘোর আকচাআকচির বাজারে, নিরাপদ দূরত্ব থেকে ঠাকুর বাড়ির ভাঙনেই খানিক ভরসা খুঁজে পাচ্ছে কংগ্রেস। এ দিন তৃণমূল-বিজেপি-র কাদা ছোড়াছুড়ির প্রসঙ্গ টেনে সে কথাই ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন অধীর।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। তাঁদের নাগরিকত্ব-সহ নানা সমস্যা নতুন নয়। এ দিন সে কথাই ফের মনে করিয়ে দিয়ে উদ্বাস্তু ভোটের খোঁজ করেছেন অধীর। রাজ্যে কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন উদ্বাস্তুদের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানে তাদের উদ্যোগের কথা বলেন। তাঁর দাবি, যে ‘উপকার’ তারা সিপিএম-তৃণমূল কারও কাছেই পাননি। এই সূত্রেই প্রাক্তন রেলমন্ত্রী সিপিএমের সমালোচনা করে তুলে আনেন মরিচঝাঁপির প্রসঙ্গ। পিছু হেঁটে উল্লেখ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের ভূমিকার কথা।
তাঁর সমালোচনা থেকে রেহাই পাননি মুখ্যমন্ত্রীও। অধীর বলেন, “দিদির পাগলামো দেখে বাংলার মানুষ হাসছেন। কিন্তু দিদিকে কী কিছু বলা যায়? উনি তো আবার গোঁসা করবেন।” মমতার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জেলে যাওয়ার কথা তুলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, “জেলে বই লিখবেন, তা বিক্রি করে দল চালাবেন। তা উনি তো যা বলেন সব মিথ্যে বলেন! এ রাজ্যে এখন অর্মত্য সেনদের মর্যাদা নেই। দিদির ভাই এখন সুদীপ্ত সেন।”