স্বরূপনগরের সভায় বিজেপি বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রচার এখনও তেমন দানা বাঁধেনি বলে মনে করছে দলেরই একাংশ। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের সর্বত্র এখনও ব্যানার-ফ্লেক্স-পতাকায় মুড়ে দেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দলের প্রচারে গতি আনতে সোমবার স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনটি ছোট সভা করলেন বিজেপির এ রাজ্যের একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। কখনও গাছতলা, কখনও বাজার এলাকায় জমে ওঠে তাঁর সভা। শমীকবাবু জানান, সব জায়গায় তাঁদের কর্মীর সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু সংগঠন তো হয় সর্বত্র এখনও ততটা জোরাল হয়ে ওঠেনি। নেতৃত্বের কিছুটা খামতি থেকে যাচ্ছে। তবে দু’এক দিনের মধ্যেই ঘর গুছিয়ে নিতে পারবেন তাঁরা, এমনও ভরসা শোনা গেল বিধায়কের মুখে।
সব ক’টি সভাতেই এ দিন আগাগোড়া তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ছিলেন শমীকবাবু। সেই প্রসঙ্গেই পুলিশকেও এক হাত নেন। বলেন, “পুলিশ তো তৃণমূলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। কোথাও তারা পতাকা নিয়ে নেমে পড়ছে। কোথাও ধর্ষণকারী দুষ্কৃতীদের সাহায্য করছে। কোথাও তৃণমূলের হয়ে বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছে।” তাঁর মতে, পুলিশের অবস্থা এ রাজ্যে এতটাই খারাপ, প্রকাশ্য সভায় কেউ বলছে পুলিশকে বোমা মারতে। বলছে, বিরোধীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দাও। কাউকে গ্রেফতার করা দূরে থাক, পুলিশ সাগর ঘোষ, তপন দত্তের হত্যাককারীদের আড়াল করছে।
সিপিএম এবং কংগ্রেসও যে রাজ্যে ক্ষয়িষ্ণু, সে কথাও এ দিন বলেছেন শমীকবাবু। বিশেষ করে সিপিএম প্রসঙ্গে তাঁর তির্যক মন্তব্য, “ওদের কেবল আলিমুদ্দিনে না হয় টিভির পর্দায় দেখা যায়।”
বিজেপিই যে এ রাজ্যে একমাত্র ভবিষ্যত্, তেমন দাবি করে দলের বিধায়ক বলেন, “সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের উন্নয়ন চাইলে বিজেপির সঙ্গেই থাকা জরুরি। যে কারণে সুব্রত ঠাকুরকে (বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী) ভোট দেওয়া উচিত।”