তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এ বার বিজেপিতে

বিজেপিতে যোগ দিলেন বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মান্নান শেখ। তাঁর সঙ্গে আরও হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও বিজেপিতে এসেছেন বলে দাবি করেছেন মান্নান। শনিবার বিকেলে বাসন্তীর সোনাখালি বাজারে ব্লক বিজেপি মণ্ডল কমিটির ডাকে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। হাজির ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথাগত রায়, রাজ্য সহ সভাপতি বাদশা আলম, জেলা সভাপতি দেবতোষ আচার্য প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৫৬
Share:

বিজেপিতে যোগ দিলেন বাসন্তীর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মান্নান শেখ। তাঁর সঙ্গে আরও হাজার খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও বিজেপিতে এসেছেন বলে দাবি করেছেন মান্নান।

Advertisement

শনিবার বিকেলে বাসন্তীর সোনাখালি বাজারে ব্লক বিজেপি মণ্ডল কমিটির ডাকে এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। হাজির ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথাগত রায়, রাজ্য সহ সভাপতি বাদশা আলম, জেলা সভাপতি দেবতোষ আচার্য প্রমুখ।

সভামঞ্চে মান্নানের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন তথাগতবাবু। বিজেপি নেতার কথায়, “বিভিন্ন দল থেকে অনেকেই আমাদের দলে আসছেন। তার কারণ, রাজ্যে একটা উন্মাদের সরকার চলছে। এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার। তাদের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা একমাত্র বিজেপিরই আছে।” এই প্রসঙ্গে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের কথাও উল্লেখ করেন বিজেপি নেতা। সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তাঁর ছেলে সুব্রতও দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে এ বার বনগাঁ উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন।

Advertisement

মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথাগতবাবু বলেন, “মুকুল রায় একটা জাহাজ। তা ডুবতে বসেছে। মানুষ সেটা বুঝতে পারছেন। উনি কোথায় যাবেন, কোন দল করবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার। তবে তিনি যে দল ছেড়ে যাচ্ছেন, তা পরিস্কার।” কিন্তু মুকুলবাবুর জন্য কি বিজেপির দরজা খোলা? তথাগতবাবুর সংক্ষিপ্ত জবাব, “আগে আসুক। আমাদের যদি জানায়, তা হলে যদির কথা চিন্তা করব।”

কিন্তু কেন দল ছাড়লেন মান্নান?

সদ্য প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার ক্ষোভ আছে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের বিরুদ্ধে। মান্নান বলেন, “বাসন্তী ব্লকে চার জন অশিক্ষিত লোককে দিয়ে জয়ন্ত নস্কর বিভাজনের রাজনীতি করছেন। ওদের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক ফেল। আমাদের মতো শিক্ষিত মানুষ, স্কুল শিক্ষকদের কোনও মূল্যই নেই দলে।” মান্নানের অভিযোগ, দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাঁদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হত। দলের মধ্যে সুশাসন নেই। নীতির অভাব। এ সবেরই প্রতিবাদে তিনি দল ছাড়লেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জয়ন্তবাবুর বক্তব্য, ব্লক এলাকায় মান্নান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রাজনীতি করতেন। সে জন্য দলের ক্ষতি হচ্ছিল। সে কারণে আমরা ওঁকে আগেই সরিয়ে দিয়েছিলাম। উনি আমাদের দল থেেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আমরা আনন্দিত। আর কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকবে না।” মান্নানের সঙ্গে দলের আর কেউ বিজেপিতে যায়নি বলেই দাবি জয়ন্তবাবুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement