তৃণমূলের অনাস্থায় হার দলীয় প্রধানের

তৃণমূলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থায় ভোটে হেরে পদ খোয়ালেন দলীয় পঞ্চায়েত প্রধান। মঙ্গলবার বাসন্তীর ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে ওই ভোটাভুটি হয়। প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থাকে আরএসপি-র ৬ জন সদস্য সমর্থন করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৬
Share:

তৃণমূলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থায় ভোটে হেরে পদ খোয়ালেন দলীয় পঞ্চায়েত প্রধান। মঙ্গলবার বাসন্তীর ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে ওই ভোটাভুটি হয়। প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থাকে আরএসপি-র ৬ জন সদস্য সমর্থন করেছেন।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ১৪টি এবং আরএসপি-র ৭টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে প্রধান হয়েছিলেন তৃণমূলের মমতাময়ী মণ্ডল। কিছুদিন আগে আরএসপি-র এক সদস্য অর্জুন জানা তৃণমূলে যোগ দিলে তৃণমূলের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয় ১৫। গত ২৭ অক্টোবর তৃণমূলের ৮ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, এলাকায় কোনও কাজ না করা, মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ইত্যাদি অভিযোগ তুলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। আরএসপি-র ৬ জন সদস্য ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এ দিন অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে ১৪ জন অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূলের ৮ জন এবং আরএসপি-র ৬ জন। অনাস্থায় ভোটদাতাদের অন্যতম তৃণমূলের উপপ্রধান আনেজ মোড়ল বলেন, “প্রধান এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ব্যর্থ। এলাকার মানুষের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার করছিলেন না। এ জন্য মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে মানুষের চাপে প্রধানকে সরাতে হল।” আরএসপি-র সুবল মান্না, দীপক মণ্ডলরা বলেন, “প্রধান কোনও কাজ করছিলেন না। যাঁরা কাজ করবে আমরা তাঁদের সমর্থন করব।”

তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় সদস্যদেরই অনাস্থা আনা প্রসঙ্গে প্রধান বলেন, “আমি চক্রান্তের শিকার। আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।” বিডিও কাওসর আলি বলেন, “অনাস্থা ভোটে প্রধানের অপসারণ হয়েছে। নতুন প্রধান নির্বাচনের দিন শীঘ্র জানিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement