অটো উল্টে মৃত ব্যবসায়ী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
একটি লরিকে পাশ দিতে গিয়ে উল্টে গেল যাত্রী-বোঝাই অটো। তার জেরে মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। তাঁর নাম মনিরুল পাড় (২৮)। বাড়ি তরুনিপুর গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার সকালে স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর বাজারের কাছে স্বরূপনগর রোডে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ছটা নাগাদ তরুনিপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যবসায়ী একটি অটোরিকসা ভাড়া করে স্বরূপনগরের হঠাৎগঞ্জ বাজারে আসছিলেন। গোবিন্দপুর বাজারের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরিকে পাশ দিতে গেলে অটোটি রাস্তার উফর উল্টে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আবুতালেব পাড়, ইউনুস পাড় ও মনিরুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় শাঁড়াপুল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মনিরুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আবু তালেবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • জয়নগর
মাস আড়াই আগে ক্যানিংয়ের আমতলার ধোসাঘাটে প্রকাশ্যে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী মনিরুল সর্দার। একজন গ্রেফতার হলেও অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার। রবিবার রাতে বরযাত্রী সেজে তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। সোমবার আলিপুর আদালতে ধৃতের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। এ দিন রাতে ক্যানিং থানার ওসি সতীনাথ চট্টরাজ কয়েক জন মহিলা পুলিশকর্মী ও পুলিশকে বরযাত্রী সাজিয়ে চারটি ভাড়া করা অটোয় চড়ে হাজির হন রফিকুলের বাড়ি। বরযাত্রী বোঝাই অটো দেখে কারওরই সন্দেহ হয়নি। রফিকুলও বুঝতে পারেনি কিছুই। কিন্তু ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খিড়কি দিয়ে পালাতে যায় সে। পুলিশও তাকে ধাওয়া করে। বাড়ির পাশেই একটি কাদা মাখা মাঠ থেকে বেশ কিছুক্ষণ পরে তাকে ধরতে পারে পুলিশ। গত ১৫ এপ্রিল আত্মীয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ খেয়ে মোটরবাইকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আমতলার ধোষাঘাটের বাসিন্দা মনিরুল সর্দার। বাড়ির কাছে এসে স্ত্রীকে নেমে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। তারপর মোটরবাইক রেখে স্থানীয় একটি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই রফিকুল ও তার দলবল তাঁর উপর চড়াও হয়। প্রথমে তারা মনিরুলকে লক্ষ করে বোমা মারে। গুলিও চালায়। তারপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে। পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত রফিকুলকে কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না। বারবারই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাচ্ছিল রফিকুল। এ দিন ক্যানিং থানার ওসি সতীনাথবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ফেরার রফিকুলের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ ছিল। অনেকবার চেষ্টা সত্ত্বেও সে হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল।”
ধর্ষণে ধৃত হাবরার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা
গত বছর দুর্গাপুজোর নবমীর রাতে এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীর রাতে ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বছর পনেরোর এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে হাবরা থানার পুলিশ গোবরডাঙা থেকে রাকেশ সাহা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাকেশ মেয়েটির পরিচিত। তারা এক সঙ্গে নাচ করতে যেত। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ছেলেটি। সম্প্রতি বিয়ে করতে অস্বীকার করে। রবিবার থানায় অভিযোগ করে মেয়েটি।
বিজেপিতে মারামারি
রক্তদান শিবিরের ভিতর বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মারামারি হল শ্রীরামপুরের মাহেশে। দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। ধরা পড়ে দু’পক্ষের ৫ জন।