ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং
এক ব্যবসায়ীর থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে কার্তিক হালদার নামে এক যুবক দু’টি টিভি সিরিয়াল পরিচালনা করেছেন। তাঁর দুই সহযোগীর নাম দীপু বায়েন ও খলিল মণ্ডল। কার্তিকের বাড়ি জয়নগর থনার বটতলায়। দীপু ও খলিল কুুুলতলির জালাবেড়িয়ায় বাসিন্দা। বারুইপুরের কৃষ্ণমোহন থেকে কার্তিককে প্রথমে ধরে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে হাওড়ার বালি এবং কুলতলির জালাবেড়িয়া থেকে দীপু ও খলিলের সন্ধান মেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিবম শর্মা নামে কামালগাজির এক বাসিন্দাকে ফোন করে রাজু মণ্ডল নামে এক যুবক। রাজু জানায়, ক্যানিংয়ে হেড়োভাঙ্গা এলাকায় একটি জমি কিনতে চাইলে শিবম তা দেখতে আসতে পারেন। গত ২৮ জুন শিবম ওই জমি দেখতে ক্যানিংয়ে আসেন। অভিযোগ, স্টেশন থেকে তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে জমি দেখানোর নাম করে নিয়ে যাওয়া হয় হেড়োভাঙার নয়াপাড়ার একটি ফাঁকা মাঠে। সে সময়ে গাড়ির ভিতরে কার্তিক, দীপু ও চালক হিসাবে খলিল ছিল। অভিযোগ, শিবমকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করে টাকা, মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। এটিএমের পিন নম্বরও বলতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। ঘন্টা পাঁচেক আটকে রেখে এটিএম থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে থানায় অভিযোগ করেন শিবম। রাজু মণ্ডল নামে অন্য এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, দু’দিন বন্ধ দুই স্কুল
শান্তশ্রী মজুমদার • ডায়মন্ড হারবার
প্রচণ্ড গরমের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে সারা রাজ্যে সমস্ত সরকারি স্কুল অতিরিক্ত দশ দিন বন্ধ ছিল। দশ দিনের ছুটি পেরিয়ে স্কুল খুলেছে জুন মাসের ২৬ তারিখে। তিন দিন না পেরোতে পেরোতে আবার দু’দিনের স্কুল ছুটি ঘোষণা করল ডায়মন্ড হারবার মহকুমার অধীন সরিষা হাইস্কুল ও ডায়মন্ড হারবার স্কুল কর্তৃপক্ষ। দু’দিনের এই স্কুল ছুটির কারণ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। দু’দিন এই সফরে তাঁর নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে প্রায় সাড়ে সাতশোর মত পুলিশকর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁদের থাকার খাওয়ার জন্য ওই দু’ই স্কুল বাড়ি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে প্রধান শিক্ষকদের কাছে চিঠি যায়। আর তার ভিত্তিতেই সোমবার ও মঙ্গলবার ওই দু’টি স্কুল বন্ধ বলে স্কুল সূত্রের খবর। সরিষা হাইস্কুলের সম্পাদক অরবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপার বলে আমরা আপত্তি করিনি। তবে পরামর্শ দিয়েছি, ভবিষ্যতে এ রকম হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে।” প্রধান শিক্ষক সুদীপ কর্মকার বলেন, “এ জন্য যদি উপর মহল থেকে জবাব চাওয়া হয়, তা হলে সেখানেই যা জানানোর জানাব।” অন্য দিকে, ডায়মন্ড হারবার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক দাসের সঙ্গে মোবাইলে বহু বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। স্কুল চলাকালীন সরকারি কাজে স্কুলবাড়ি ব্যবহার করতে গেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আগাম অনুমতির প্রয়োজন। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও অনুমতি চাওয়াই হয়নি। জেলার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দেবজ্যোতি বড়াল জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও আগাম খবর ছিল না।
শ্যালককে খুন করে পলাতক
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভাঙড়
শ্যালককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ভগ্নীপতির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে প্রহৃত হন পুলিশ কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নাঙলা গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম মীর কুচো (৪২)। লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয় বেশ কয়েক জন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। তবে মূল অভিযুক্ত মীরের ভগ্নীপতি ফন্টু মীর ঘটনার পর থেকে পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গণ্ডগোলের কথা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সে সময়ে তাঁদের আটকে রাখে অভিযুক্তেরা। কাশীপুর থানার সাব-ইনস্পেকটর পুষ্পক সরকারকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ না থাকায় কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। পরে বিশাল বাহিনী যায় ওই এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়না-তদন্তের জন্য। মৃতের দাদা জাকির মীর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানান পুলিশ কর্তারা।
পাড়ায় পাড়ায় বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা
—নিজস্ব চিত্র।
২৭ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আনন্দবাজার পত্রিকার উদ্যোগে ও ‘স্বস্তিকা সঙ্ঘ’-এর সহযোগিতায় পাড়ায় পাড়ায় বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা। ক্যুইজে জয়ী (বাঁ দিক থেকে) শুভজিৎ রাউত ও মহুয়া বাগ। বিতর্কে জয়ী জয়দীপ ঘোষ ও সৌতিক মুখোপাধ্যায় এবং পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী প্রীতম দেবনাথ ও তনুশ্রী চক্রবর্তী। ২৬ জুন এই জেলারই জয়নগরেও ‘নতুন সঙ্ঘ ক্লাব’-এর সহযোগিতায় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্যুইজে জয়ী (বাঁ দিক থেকে) রাজদীপ চট্টোপাধ্যায় ও সায়ক চক্রবর্তী। বিতর্কে জয়ী শুভদীপ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত কর। পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী অন্তরা সেন ও জয়স্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়।