পরিদর্শন: গোবরডাঙা হাসপাতালে। ছবি: সুজিত দুয়ার
গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু করার আগে হাসপাতালের পরিকাঠামো সরেজমিন খতিয়ে দেখল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীমা মণ্ডলের নেতৃত্ব সকলে হাসপাতালে আসেন। ছিলেন জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্করপ্রসাদ পাল সহ অনেকে। জ্যোতি বলেন, ‘‘শীঘ্রই জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু করছি। জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের ব্যবস্থা থাকছে। কয়েকজন চিকিৎসক থাকবেন সর্বক্ষণ।’’
বৃহস্পতিবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কার্যত বন্ধ হাসপাতালে ফের ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হবে। এ দিন জেলা পরিষদের প্রতিনিধি দল আসছে জানতে পেরে সকাল থেকে অনেকে হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা সকলে খুশি। হাসপাতাল চত্বর থেকে আগাছা পরিষ্কার করা হয়। ছড়ানো হয় ব্লিচিং।
অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী নবকুমার দে বলেন, ‘‘এত দিন পরে হাসপাতাল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। আমরা ফের পরিষেবা পাব। জরুরি পরিষেবা মিলবে। এখন আমাদের চিকিৎসার জন্য হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে যেতে হয়।’’ তাপস পাল বলেন, ‘‘প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ এই হাসপাতালের উপরে নির্ভরশীল ছিলেন। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু হলে তাঁরা ভরসা ফিরে পাবেন।’’
গোবরডাঙা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিল শঙ্কর দত্তের দাবি, দিন দশেকের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘আপাতত হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ১০টি শয্যা দেওয়া হচ্ছে। পরে পুর দফতর হাসপাতালটির দায়িত্ব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপে হাসপাতাল চালু করবে।’’
শহরবাসী চাইছেন, হাসপাতালটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে হিসাবে তৈরি করা হোক। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দায়িত্ব নিক। না হলে ফের পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।