উত্তেজনা: ভাঙচুর হয়েছে লরিতে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
বাবা ফিরলেন, ছেলের ফেরা হল না।
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে সন্তু বৈদ্যের (১৮)। মঙ্গলবার বেলা ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গোবরডাঙা থানার গণদীপায়ন এলাকায়, যশোর রোডে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সন্তু। জনতা ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। ঘণ্টা দেড়েক অবরোধ চলে যশোর রোডে। পরে গোবরডাঙা ও হাবড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যশোর রোড এই অংশে বেশ সংকীর্ণ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ফুটপাত বলে কিছু নেই। যশোর রোড সম্প্রসারণের দাবি তুলছেন মানুষ। ফুটপাত তৈরির দাবিও উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে হাবড়ায় মাটি কাটার কাজে গিয়েছিলেন সন্তু ও তাঁর বাবা সুজিত। দু’জনে দু’টি সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সুজিত সামনে এগিয়ে গিয়েছিলেন কিছুটা। ছেলে সাইকেলে কোদাল বেঁধে পিছনে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাবড়া থেকে বনগাঁর দিকে যাওয়া একটি ট্রাককে পাশ দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে সাইকেল নিয়ে নামার চেষ্টা করেন সন্তু। রাস্তার নিচু অংশে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারান। পড়ে যান। ট্রাকের পিছনের চাকায় দেহ থেঁতলে যায়।
সন্তুদের বাড়ি গাইঘাটার ময়না এলাকায়। দুর্ঘটনার মিনিট পাঁচেক আগে সুজিত বাড়ি পৌঁছেছিলেন। সবে পোশাক বদলাতে যাবেন, এমন সময়ে দুর্ঘটনার খবর আসে ফোনে।
কান্নায় ভেঙে পড়েন সুজিত। বলেন, ‘‘আমার আর কেউ থাকল না। একটাই ছেলে। কেন যে ওকে সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম না।’’