প্রতীকী ছবি।
গত ডিসেম্বর থেকে তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিয়ো ঘুরছে পর্ন ওয়েবসাইটে। বছর ঊনত্রিশের তরুণী তা জানতেনই না! গত মঙ্গলবার তা জেনেই দ্রুত বরাহনগর থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতেই শুভ্ররঞ্জন পাত্র নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে তাঁর ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।
পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে একটি বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের সূত্রে বজবজের বাসিন্দা শুভ্ররঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। তরুণীর দাবি, ‘‘বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেও কেন ঘনিষ্ঠ হচ্ছি না, এ নিয়ে শুভ্ররঞ্জনের অভিযোগ ছিল। পরে মনে হয়, বিয়ে তো হবেই। তাই বাধা দিইনি।’’ পরবর্তীকালে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। তরুণীর দাবি, শুভ্ররঞ্জন যে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিয়ো তুলেছিলেন তিনি বুঝতে পারেননি। অভিযোগ, শুভ্ররঞ্জনই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেন। আরও চার জনের বিরুদ্ধে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তরুণী। পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সেপ্টেম্বরে অন্য এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে। বুধবার তরুণী বলেন, ‘‘আমি পশু অধিকার নিয়ে কাজ করি। পশুর অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েক জন বেআইনি ভাবে কুকুরের ব্রিডিং করাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছি। মঙ্গলবার তাঁদের এক জন ফোন করে বলেন, সাবধান। তোর বিরুদ্ধে বড় প্রমাণ পেয়েছি। দেখি ফেসবুকে ওঁরা ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন।’’ হোয়াটসঅ্যাপেও কয়েক জন বন্ধু ভিডিয়োটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পুলিশের পরামর্শে শুভ্রবিকাশকে কলকাতায় আসতে বলেন তরুণী। বুধবার অভিযুক্ত এলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় তিনি দোষ কবুল করেছেন।