উদ্ধার হওয়া কাঠ। নিজস্ব চিত্র
বন দফতর এবং রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বেআইনি কাঠ ও কিছু আসবাব। শুক্রবার বাগডোগরা রেঞ্জের নকশালবাড়ি থানা এলাকার অন্তর্গত হাতিঘিষার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওইগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বনদফতরের দাবি, উদ্ধার হওয়া কাঠ ও আসবাবের মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। উদ্ধার হয়েছে চারটি ঠেলাগাড়ি।
বন দফতরের দাবি, বেআইনি কাঠ বিহারে ও নেপালে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গল থেকে বেআইনিভাবে কাঠ কেটে সেগুলি দিয়ে আসবাব তৈরি হয়ে বিহার, নেপালে পাচার চলছে বলে মনে করছে বন দফতরের কর্তারা। বনকর্তাদের দাবি, বাগডোগরা রেঞ্জের নকশালবাড়ি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেগুন কাঠ মিলেছে। অথচ বাগডোগরার জঙ্গলে সাধারণত সেগুন কাঠ হয় না বলেই দাবি তাঁদের। তাই বনকর্তাদের ধারণা কার্শিয়াং বন বিভাগের অধীনে টুকুরিয়া ঝাড়, পানিঘাটা এবং বামনপোখরি থেকে সেগুন কাঠ আনা হয়ে থাকতে পারে। কিছুদিন আগেও শিবমন্দিরে এশিয়ান হাইওয়ের পাশে বেশ কিছু দোকানে অভিযান চালিয়েছিল বন দফতর। সেখানে বেআইনি কাঠের তৈরি আসবাব উদ্ধার হয়েছিল। প্রচুর কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়।
বন দফতর সূত্রে খবর, এ দিন বাগডোগরা রেঞ্জের হাতিঘিষায় নন্দলালজোত, মহাসিংহ জোত, মৌরিজোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০০ সিএফটি কাঠ উদ্ধার হয়েছে। বাগডোগরার রেঞ্জার সমীরণ রাজ বলেন, ‘‘শাল, সেগুন ছাড়াও চিলাউনি কাঠ উদ্ধার হয়েছে। সেগুন সাধারণত বাগডোগরায় পাওয়া যায় না। বাকিগুলি প্রায় তিন মাস আগে কাটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এগুলি বিহারে এবং নেপালে পাঠানোর কথা ছিল।’’
বন দফতরের কর্তারা জানান, জঙ্গলে সাইকেল এবং বড় করাত নিয়ে গিয়ে কাঠ কেটে সেগুলি এলাকায় এনে চেরাই করে তৈরি হচ্ছে আসবাব। এ দিন অভিযানের সময়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে অন্তত পাঁচটি বাড়ির লোকজন। হাতিঘিসা পঞ্চায়েতের মাধ্যমে ওই পরিবারগুলিকে শীঘ্রই নোটিশ পাঠাচ্ছেন বনকর্তারা। কর্তাদের দাবি, কয়েকমাস ধরে হাতি তাড়ানোর অভিযানে বনকর্মীদের ছুটে বেড়াতে হয়েছে। তারজন্য নজরদারি কমে গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।