অনুমতি না মেলায় স্থগিত হয়েছে এই কর্মসূচি। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
পুলিশের অনুমতি না মেলায় অশোকনগরে স্থগিত হয়ে গেল মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচি।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে অশোকনগরের চৌরঙ্গী মোড়ে শনিবার এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছিলেন মেয়েরা। তা নিয়ে ক’দিন ধরেই প্রচার চলছিল সমাজমাধ্যমে। আয়োজনও ছিল চূড়ান্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ দিনের কর্মসূচি স্থগিত হয়ে যায়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় কর্মসূচি করা যায়নি।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম তৃণাঙ্কা পোদ্দার বলেন, “আগেও আমরা দু’দিন কর্মসূচি পালন করেছি। আগের দু’টি কর্মসূচি পালনে পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। পরবর্তী সময়ে আমাদের বলা হয়, এখন রোজই প্রচুর কর্মসূচি হচ্ছে। ফলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। সেই মতো আমরা গত বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করি। ২৪ ঘণ্টা পরে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়, শনিবার ওই এলাকায় একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকায় আমাদের অনুমতি দেওয়া যাবে না।”
উদ্যোক্তাদের অনেকেই মনে করছেন, কর্মসূচি করতে না দেওয়ার কৌশল ছাড়া এটি আর কিছু নয়। অনেকেই ক্ষুব্ধ। অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “আমি যত দূর শুনেছি, চৌরঙ্গী মোড়ে তৃণমূল কর্মসূচির জন্য নাকি অনুমতি নিয়েছিল। আমার প্রশ্ন হল, তা হলে মেয়েরা যখন আবেদন করেছিলেন, তখনই পুলিশ বলে দিতে পারত। কিছু সময় পরেও বলতে পারত। ২৪ ঘণ্টা পরে কেন পুলিশ জানাবে? তৃণমূলের চাপেই পুলিশ মেয়েদের কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।”
পুলিশ জানিয়েছে, সমাজমাধ্যমে মেয়েদের প্রচার দেখে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের যোগাযোগ করে বলা হয়েছিল। অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল। মেয়েরা আবেদন করেন। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখে, আগে থেকেই ওই মোড়ে তৃণমূলের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেটাই মেয়েদের জানানো হয়। পুলিশের এক কর্তার দাবি, এ সব ক্ষেত্রে কেউ আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে তা দেখা সম্ভব নয়। সময় মতো দেখে জানিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা তথা অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, “শনিবার থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চৌরঙ্গী মোড়ে আমাদের দলের এবং দলের শাখা সংগঠনগুলির পর পর কর্মসূচি আছে। আমরা পুলিশের কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছি। মেয়েদের কর্মসূচির কথা আমাদের জানা ছিল না। আমরা ওদের কর্মসূচির বিরোধী নই। পুলিশকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।”