—প্রতীকী চিত্র।
বারাসতে চুরি করতে এসে বৃদ্ধাকে খুন করে পালাল চোর। বাড়িতে বৃদ্ধা একাই থাকতেন। তাঁকে মেরে সর্বস্ব লুট করে চোর পালিয়ে গিয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার এক দিন পর বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি যে মারা গিয়েছেন, কেউ জানতেও পারেননি।
বারাসতের কালীবাড়ি এলাকার ঘটনা। সোমবার মধ্যরাতে বৃদ্ধার খুনের খবর পায় পুলিশ। তৎক্ষণাৎ তারা গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের নাম শর্মিষ্ঠা মুন্সি (৬৩)। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে বৃদ্ধা একাই থাকতেন। তাঁর পুত্র কর্মসূত্রে পুণেতে থাকেন। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্যার ঠিকানা বেলঘরিয়া। বাড়ির পিছন দিকের দরজা ভাঙা ছিল। সেখান দিয়েই চোর ঢুকেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে গোটা ঘর লন্ডভন্ড হয়ে আছে। মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছেন বৃদ্ধা। তাঁর দেহে প্রাণ নেই। বৃদ্ধার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বৃদ্ধার কন্যা জানিয়েছেন, সোমবার সারা দিন মায়ের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পর প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজখবর নিলে তাঁরা গিয়ে দেখতে পান বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বাইরে পড়ে আছে খবরের কাগজ। প্রতিবেশীরাই পুলিশকে খবর দেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনায় বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই ঘটনায় আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে পুলিশ।’’
এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকায় অনুরূপ খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। চুরি করার উদ্দেশ্যেই বাড়িতে ঢুকেছিল তারা। বৃদ্ধা অপকর্ম দেখে ফেলায় তাঁকে খুন করা হয়। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতে আবার প্রায় একই রকমের ঘটনা ঘটল।