মৃত তরুণীর নাম নেহা পরভিন। সোমবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নেহার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমে আলাপ, অল্প দিনেই প্রেম এবং পাত্রের পরিবারের অমতে বিয়ে। সদ্য আঠারোয় পড়া সেই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযোগের তির শ্বশুরবাড়ির দিকে।
ঘটনাটি ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বাসুদেবপুর থানা এলাকার বেল্লে শঙ্করপুর গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নেহা পরভিন। স্থানীয় বাসিন্দা আস্তাক মোল্লার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল মাত্র তিন মাস আগে। সোমবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নেহার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপরে নির্যাতন করা হত। কিছু কিছু ঘটনা নেহা তাঁর মা মুন্নি বিবিকেও জানিয়েছিলেন বলে আত্মীয়দের দাবি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘর সাজানোর জিনিস, সোনার গয়না এবং নগদ টাকা না দিলে বাড়ির লোকের সঙ্গে নেহাকে দেখা করতে দেওয়াও হত না। মুন্নি এ দিন বলেন, ‘‘মেয়ে নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করল। তখন তো প্রস্তুত ছিলাম না। এত গয়না আর জিনিস কোথায় পাব! ক’দিন আগেই কান্নাকাটি করছিল, শ্বশুরবাড়িতে খালি হাতে যাওয়ায় ওরা অত্যাচার করেছে।’’
উল্লেখ্য, পণের দাবিতে নির্যাতন, আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনা উত্তর শহরতলির এই এলাকায় নতুন নয়। কয়েক মাসের ব্যবধানে কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি, এমনকি বেল্লে শঙ্করপুর গ্রামের কাছে মোহনপুরেও পণের জন্য বধূ-নির্যাতনের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। নেহার মৃত্যুতে মৌখিক অভিযোগ হলেও রাত পর্যন্ত খুনের অভিযোগ জমা পড়েনি বলেই পুলিশ আধিকারিকদের দাবি। ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনকেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি। যদিও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনই হোক বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা, আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’’