সোদপুরের উত্তরপল্লির ওই বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র
রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া এ বার সোদপুরে। এক সপ্তাহ ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন স্ত্রী। প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খড়দহ থানার সোদপুর উত্তরপল্লির বাসিন্দা অমিয় দাস (৮২) এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি (৬৯)। সোমবার সকালে অমিয়র পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছে ঘর থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন অমিয়। সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। অমিয়র দেহ আগলে রেখেছিলেন অঞ্জলি। অমিয়র স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও দাবি প্রতিবেশীদের।
এক প্রতিবেশী সুমন দাস বলছেন, ‘‘উনি (অঞ্জলি) সকাল থেকে কাঁদছিলেন। আমরা খবর নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে টের পাই দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। তার পর ওঁর ছেলেদের খবর দিই। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। ওঁর (অঞ্জলি) মানসিক সমস্যা আছে দীর্ঘদিন ধরেই। গত ৩-৪ দিন ধরেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলাম। আজ ওঁকে কাঁদতে দেখে যাই।’’
অমিয় এবং অঞ্জলির এক ছেলে অভিজিৎ দমদমের বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘বাবা যে মারা গিয়েছেন তা জানি না। এটা জানতে পেরেছি, গত কয়েক দিন ধরে বাবার শরীর খারাপ ছিল। আমি আজ খবর পেয়ে এসেছি। মাস ৪-৫ আগে শেষ বার ফোনে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল।’’ খড়দহ থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।