এই রাস্তা দিয়ে চলছে যাতায়াত। ছবি: সুমন সাহা
সামনেই আরও একটা ভোট। তবে মূল পথঘাট এখনও সারাই হল না জয়নগর-মজিলপুরের।
জয়নগরের উপর দিয়ে যাওয়া এলাকার প্রধান রাস্তা কুলপি রোড দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। দিন দিন তা আরও খারাপ হচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অভিযোগ, তা-ও টনক নড়ছে না প্রশাসনের। পুরভোটের আগে এলাকার প্রধান রাস্তা সংস্কারের দাবি উঠছে বার বার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুর এলাকার ভিতরের ছোট রাস্তা, অলিগলিগুলির হাল ফিরেছে গত কয়েক বছরে। ইটের রাস্তা কংক্রিটের হয়েছে। অনেক জায়গায় চওড়াও করা হয়েছে রাস্তা। তবে মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কুলপি রোড। পুর কর্তাদের দাবি, পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা এই রাস্তা সারানোর জন্য বিভিন্ন মহলে বারবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি।
জয়নগরের মানুষের সড়কপথে যাতায়াতের প্রধান ভরসা কুলপি রোড। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই রাস্তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে বলে অভিযোগ। বহু জায়গায় রাস্তা ভেঙে তৈরি হয়েছে গর্ত। গর্তে গাড়ি পড়ে দুর্ঘটনা ঘটছে আকছার। অনেক জায়গায় পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে দোকান হওয়ায়, রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি নামখানায় প্রশাসনিক বেঠকে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এই রাস্তার প্রসঙ্গ তোলেন পুরপ্রধান সুজিত সরখেল। সে কথায় অবশ্য তেমন আমল দেননি মুখ্যমন্ত্রী। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘এই রাস্তা সারানোর জন্য পূর্ত দফতর থেকে শুরু করে মহকুমাশাসক— বহু জায়গায় আবেদন করেছি। কাজ হয়নি। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে রাস্তার সমস্যার কথা বলি। উনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বুলবুলের ক্ষতিপূরণে প্রচুর খরচ হয়েছে। রাস্তা নিয়ে পরে ভাববেন।’’
পুরকর্তাদের দাবি, পূর্ত দফতরের অধীন হওয়ায় এই রাস্তা সংস্কারের দায়িত্বও তাঁদের। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘পুরসভার ভিতরে সব রাস্তাই ঝকঝকে। গত পাঁচ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে। এমনকী, পুর এলাকার মধ্যে রেলের অধীনে থাকা রাস্তাও আমরা অনুমতি নিয়ে সংস্কার করে দিয়েছি। কিন্তু পূর্ত দফতরের রাস্তা সারানোর এক্তিয়ার আমাদের নেই। তাই ওদেরই বারবার অনুরোধ করছি রাস্তা সারাতে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।’’ তাঁর অভিযোগ, এই রাস্তার জন্য এলাকার মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মানুষ মারা পর্যন্ত যাচ্ছে। অথচ রাজ্য সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না।
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা সংস্কার নিয়ে আশার কথা না শোনালেও, দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার অবস্থা সত্যিই খারাপ। দ্রুত এর সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’’