সুনসান: ভাঙড় বাজার। শুক্রবার ছবি তুলেছেন সামসুল হুদা
লকডাউনের জেরে জেলা জুড়ে বিভিন্ন বাজারে কালোবাজারি চলছেই। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে অনেক জায়গাতেই। তার উপর অনেক জিনিসই মিলছে না বলে অভিযোগ। শুক্রবার ক্যানিং, বাসন্তী-সহ অনেক বাজারে কার্যত পাওয়াই যায়নি ডিম। দু-একটা দোকানে ডিম থাকলেও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও একটা ডিমের দাম ৮-৯ টাকা নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ডিমের গাড়ি আসছে না।
মজুত ডিম যা ছিল অতিরিক্ত চাহিদার জন্য তা শেষ হয়ে গিয়েছে। জোগান না থাকার জন্যই সমস্যা বাড়ছে। ক্রেতারা জানান, এ দিন বাজারে মাছ-মাংসের দামও ছিল বেশি। চাল, আলু নিয়েও কালোবাজারি চলছে অনেক জায়গাতেই। ভাঙড়ের বোদরা, শাঁকশহর, পোলেরহাট বাজারে এ দিন চালের দাম কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ১৮ টাকা প্রতি কেজি দরের আলুও কোথাও কোথাও ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে এ দিন ভাঙড়ে বিভিন্ন বাজারে হানা দেন টাস্কফোর্সের কর্তারা। প্রশাসনের লোকজন আসায় দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়।
বিডিও সৌগত পাত্র বলেন, “সুযোগ বুঝে বেশ কিছু বাজারে চাল, আলুর দাম হঠাৎ করে বাড়িয়ে দিয়েছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। আমরা খবর পেয়ে ওই সব বাজারে অভিযান চালাই। যারা কালোবাজারি করার চেষ্টা করছেন তাদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফের এমন কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সকালের দিকে এ দিনও বিভিন্ন বাজারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়তেই অবশ্য ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তাঘাট। তবে লাইন ছিল ওষুধের দোকানগুলিতে। বেশির ভাগ দোকানের সামনেই নির্দিষ্ট দুরত্ব রেখে দাগ দিয়ে দেওয়া হয়। সেই দাগের মধ্যে দাঁড়িয়েই কেনাকাটা করেন মানুষ। জয়নগর, ডায়মন্ড হারবার-সহ অনেক এলাকাতেই বাজারের আনাজ বা ফলের দোকানের সামনেও একই ভাবে দাগ নিয়ে দুরত্ব নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।