প্রতীকী ছবি
বারবার সাবধান করে কাজ হয়নি। পুলিশি ধরপাকড়েও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভিড় ঠেকাতে বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকায়। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে অকারণ ভিড় হচ্ছে। মানা হচ্ছে না দূরত্ববিধি। সে জন্যই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। শুক্রবারও পুর এলাকার ছোট-বড় সব ক’টি বাজার বন্ধ থাকবে। পুর এলাকার বাজার কমিটিগুলি একত্রে তৈরি করেছেন অশোকনগর-কল্যাণগড় ব্যবসায়ী সমন্বয় কমিটি। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে,
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রোজ সকালে মানুষ বাজারগুলিতে ভিড় করছেন। অনেকেরই প্রয়োজন সামান্য। তার জন্য প্রতি দিন বাজারে না এলেও চলে। কিন্তু তা না
মানায় ফি সকালে ছোটখাটো জমায়েত তৈরি হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। বাজারে আনাজ মাছ কিনতে যাওয়ার নাম করে বাজারে এসে গুলতানি মারছেন। ছুটি বলে অনেকে সস্ত্রীক এবং বাড়ির ছোটদের বাজারে নিয়ে আসছেন। মাস্ক থাকছে না অনেকেরই। কমিটি মনে করছে, এই পরিস্থিতি বাজার দু’দিন বন্ধ থাকলে মানুষ সচেতন হবেন।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকার প্রধান বাজারগুলি হল, গোলবাজার, কল্যাণগড় বাজার, অশোকনগর স্টেশন বাজার, বিল্ডিংমোড় বাজার, বনবনিয়া বাজার, কচুয়ামোড় বাজার, ৮ নম্বর কালীবাড়ি বাজার, নিউমার্কেট ও কাঁকপুল বাজার। লকডাউনের মধ্যেও এখানে ভিড় জমছিল। বাজারের দোকানগুলি বড় জায়গায় সরিয়েও লাভ হয়নি। কমিটির সদস্য গুপি মজুমদার বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে পুর এলাকার ছোট-বড় ২০টি বাজার বন্ধ করা হয়েছে। ওষুধ, গ্যাস ও রেশনের দোকান শুধু ছাড় দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও পুরসভা আমাদের সহযোগিতা করছে। এখানকার বাজারগুলিতে নদিয়া জেলা থেকে অনেক মাছ ও আনাজ ব্যবসায়ীরা আসেন। শনিবার থেকে তাঁদের আসা বন্ধ করা হচ্ছে।” বাজারগুলি বন্ধ থাকায় এ দিন রাস্তাঘাট ছিল সুনসান।