জলের মধ্যে থাকতে হয় রোগীদের

ওই হাসপাতালের বিএমওএইচ প্রণবেশ হালদার বলেন, ‘‘ভবন সংস্কারের কাজ চলছে বলে বৃষ্টি হলে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।’’ তিনি জানান, আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

রায়দিঘি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১২:৪৫
Share:

অল্প বৃষ্টি হলেও হাসপাতালের ভিতরে জল থই থই করছে।—প্রতীকী চিত্র।

বৃষ্টির জল অঝোরে পড়ছে বিছানার উপর। বিছানা থেকে উঠে এ দিক ও দিক গিয়ে মাথা বাঁচাচ্ছেন রোগীরা!

Advertisement

রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের এই অবস্থার জন্য ভবন সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এতে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, সারাক্ষণ শব্দ হচ্ছে। অল্প বৃষ্টি হলেও হাসপাতালের ভিতরে জল থই থই করছে। জলের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে রোগীদের। পরিষেবাও ঠিকমতো মিলছে না। রোগীরা জানান, একে তো হাসপাতালের এই অবস্থা। এ ভাবে থাকা যাচ্ছে না। তার মধ্যে আবার হাসপাতালের আর্বজনা পাশেই ফেলে রাখা হচ্ছে। দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না।

ওই হাসপাতালের বিএমওএইচ প্রণবেশ হালদার বলেন, ‘‘ভবন সংস্কারের কাজ চলছে বলে বৃষ্টি হলে সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।’’ তিনি জানান, আবর্জনা সরানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুতুল গায়েন বলেন, ‘‘ওই হাসপাতালের জন্য অস্থায়ী ভ্যাট নির্মাণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে। সে জন্য পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’’

Advertisement

মথুরাপুর ২ ব্লকের গ্রামীণ এই হাসপাতালের অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ। একবার চাঙড় ভেঙে রোগীর মাথায় পড়েছিল বলেও শোনা গিয়েছে। মাস কয়েক আগে ওই ভবনের কাজ শুরু হয়েছে।

শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দা রামকৃষ্ণ দাস, গৌতম খাঁদের আরও অভিযোগ, এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কোনও ব্যবস্থা নেই। তার জন্য ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে যেতে হয়। পানীয় জলের একটিমাত্র নলকূপ রয়েছে। তা থেকে নোংরা জল বের হয়।

ওই গ্রামীণ হাসপাতালে আছেন বিএমওএইচ-সহ ৫ জন ডাক্তার। রায়দিঘি ছাড়াও কুলতলি, পাথরপ্রতিমা এলাকা থেকে রোগীরা এখানে আসেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৪৫০ জন রোগীর ভিড় হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিকিৎসক বাড়ানো হয়নি। দিনে রোগী সামলাতেই হিমসিম খান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রণবেশবাবুর দাবি, চিকিৎসক নিয়োগের জন্য একাধিকবার স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement