প্রতীকী ছবি।
রেশন নেওয়ার সময়ে মাস্ক পরতে বলা হয় এক কিশোরকে। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। রেশন না নিয়েই চলে যায় ওই কিশোর। পরে ওই কিশোরের জামাইবাবু, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এসে রেশন দোকানের কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানার মহিষপুকুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে পশ্চিম মহিষপুকুরের ডিলার খগেন্দ্রনাথ দাসের দু’জন কর্মী দু’টি জায়গা থেকে রেশন দেওয়ার কাজ করছিলেন। একটি জায়গায় স্লিপ দেওয়া হচ্ছিল। আর একটি জায়গায় চাল দেওয়া হচ্ছিল। বুদ্ধদেব বিশ্বাস নামে যে কর্মী স্লিপ দিচ্ছিলেন, তাঁর কাছে মাস্ক ছাড়া রেশন নিতে আসে বাকিবিল্লা গাজি নামে এক কিশোর। বুদ্ধদেবের দাবি, মাস্ক না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই কিশোর গালিগালাজ করে। এরপর অন্য গ্রাহকেরা ওই কিশোরকে বকাবকি করে। বুদ্ধদেব ছেলেটিকে জানিয়ে দেন, মাস্ক বা অন্য কোনও কিছু দিয়ে মুখ না ঢাকলে রেশন দেওয়া হবে না। এরপর ওই কিশোর রেশন না নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। তারপর তার জামাইবাবু স্থানীয় পাটলি খানপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য পিন্টু মোল্লা আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে সুজিত দাস নামে এক কর্মচারীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পিন্টু বলেন, ‘‘আমার নাবালক আত্মীয়কে মারধর করা হয়। রেশন কার্ড বৃষ্টির মধ্যে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। তাই রেশন দোকানে গিয়েছিলাম। দেখলাম, অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। তবুও তাঁরা রেশন পাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে আমার সঙ্গে তর্ক করায় এক কর্মীকে একটা চড় মেরেছি।’’ তবে আক্রান্ত সুজিত বলেন, ‘‘পিন্টু তাঁকে শরীরের একাধিক জায়গায় কিল-চড় মেরেছেন।’’ এই ঘটনায় হাসনাবাদ থানায় পিন্টুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে ডিলার জানান। পিন্টুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।