পানীয় জলের জন্য লাইন। ছবি: দিলীপ নস্কর
গ্রামের পর গ্রামে জুড়ে নলকূপ অকেজো। পাইপলাইনের জলও অনিয়মিত। গরম বাড়তেই মগরাহাটের উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েতে অধিকাংশ এলাকায় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
প্রসাশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট ২ ব্লকের উড়েলচাঁদপুর পঞ্চায়েতে ১৩টি সংসদ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু এলাকায় পাইপলাইনের জল সরবরাহ হয়। বাকি এলাকাগুলি পানীয় জলের জন্য নলকূপের উপরে নির্ভরশীল। গরম পড়তেই পুকুর-খাল-বিলের জল নেমে গিয়েছে। এ দিকে, জলস্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপগুলিতেও জল মিলছে না। অভিযোগ, ওই এলাকার উড়েলচাঁদপুর, মল্লভপুর, দাইজি, ছোট বাঘমারি, বড় বাঘমারি, কুলেপাড়া, তালদি-সহ প্রায় সমস্ত এলাকার একাধিক নলকূপ খারাপ হয়ে গিয়েছে। পানীয় জল সংগ্রহ করতে কয়েক মাইল পথ পেরিয়ে যেতে হচ্ছে মানুষকে। অনেক সময়ে দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়েও জল মিলছে না। আরও অভিযোগ, পাইপ লাইনের জলেও চাপ কমে গিয়েছে। সরু সুতোয় মতো জল পড়ছে।
উড়েলচাঁদপুরের মাঝিপাড়া পাত্রপাড়ার বাসিন্দা কল্পনা সেনাপতি, সন্ধ্যা পাত্রদের অভিযোগ, বছরখানেক আগে এলাকার একমাত্র নলকূপটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পাইপলাইনে জলের উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু সেই জল সরবরাহ অনিয়মিত। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিতে হয়। জল পড়ে খুব ধীরে। বালতি ভর্তি করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। বিষয়টি পঞ্চায়েতে জানালেও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান যুধিষ্ঠির নস্কর বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০-১৫টি নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। মূলত জলস্তর নেমে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। একটি নলকূপ সারাতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। এর আগে একাধিকবার নলকূপ সারিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে তহবিলে টাকা নেই। বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে।’’ মগরাহাট ২ বিডিও শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘নলকূপ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য সভা ডেকেছিলাম। প্রধানদের বলা হয়েছে, নলকূপের ছোটখাটো সমস্যা হলে দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা করতে হবে।’’