Champahati

চম্পাহাটিতে বন্ধ থাকবে বাজি তৈরি ও বিক্রি, নির্দেশ পুলিশের

বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, আপাতত চম্পাহাটিতে বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শব্দবাজি রুখতে পুলিশের তরফে দফায় দফায় অভিযানও চালানো হচ্ছে ওই এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারুইপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২৩ ০৮:৫৮
Share:

বিপুল: চম্পাহাটিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া বাজি। নিজস্ব চিত্র।

গত কয়েক দিনে এগরা, বজবজ, ইংরেজবাজারে বাজি তৈরি করতে গিয়ে বা মজুত বাজি থেকে বিস্ফোরণ ও তাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিতে বাজি তৈরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, আপাতত চম্পাহাটিতে বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শব্দবাজি রুখতে পুলিশের তরফে দফায় দফায় অভিযানও চালানো হচ্ছে ওই এলাকায়।

Advertisement

অথচ, তার কাছাকাছি ঘটনাস্থল, সদ্য যেখানে বিস্ফোরণে মৃত্যুও হয়েছে, সেই ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অন্তর্গত বজবজ-মহেশতলায় এখনও তেমন নির্দেশই দেওয়া হয়নি! কেন? সেই উত্তর মেলেনি। তবে, ওই পুলিশ জেলার এক আধিকারিক দাবি করেছেন, বেআইনি বাজি তৈরি, মজুত বা বিক্রির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে সেখানে। মাইকে প্রচারের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে সতর্কও করা হচ্ছে।

এ দিকে, বারুইপুর পুলিশ জেলা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সোমবার রাতে চম্পাহাটির হাড়ালে হানা দিয়ে উদ্ধার করে প্রচুর শব্দবাজি ও বাজি তৈরির মশলা। মঙ্গলবার সকালেও অভিযান চলে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

বারুইপুর থানার অধীন এই চম্পাহাটির বিস্তীর্ণ এলাকায় বাজি তৈরি হয়। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই কারবারে যু্ক্ত। সেখানে তৈরি বাজি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ও ভিন্ রাজ্যে যায়। এখানে কয়েকশো বাজির দোকান রয়েছে। সেখান থেকে নিয়মিত খুচরো বাজি বিক্রি হয়। বাজি তৈরিতে যুক্ত এলাকার লোকের দাবি, এখানকার বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর বাজি তৈরির অনুমোদন রয়েছে। তাঁরা সরকারি নিয়ম মেনে সবুজ আতশবাজি তৈরি এবং বিক্রি করেন।

যদিও অভিযোগ, আতশবাজির আড়ালে শব্দবাজিও তৈরি হয়। যে কারণে আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। বছর পাঁচেক আগে বাজি বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেও ছোটখাটো কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ব্যবসা বন্ধ হলে টান পড়বে রুজিতে। এক ব্যবসায়ীর কথায়, “কিছু ব্যবসায়ী হয়তো বেআইনি কাজ করছেন। কিন্তু, পুরো ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া কি ঠিক হল?” তবে, চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক অর্জুন মণ্ডল বলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই চলব। আগামী দিনে যাতে আমরা ব্যবসা করতে পারি, সে দিকটাও নিশ্চিত করুক প্রশাসন।”

মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল চম্পাহাটির বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনকে। অর্জুন জানান, ‘ক্লাস্টার’ তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাজি তৈরি ও বিক্রির সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement