উদ্ধার: এ সব ছিল আলমারিতে
কলেজের আলমারি থেকে উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ।
উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা। কলেজের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইউজিসি থেকে পাওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খরচের সঠিক হিসেব দেখাতে না পারলে কলেজের অনুমোদন বাতিল হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। সেই ডামাডোলের মধ্যেই শনিবার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন অধ্যক্ষ অর্ণব ঘোষ একটি ঘরের আলমারি খুলেছিলেন। সেখানেই একটি কৌটোয় রাখা ছিল ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি কাপড়ে মোড়া আগ্নেয়াস্ত্র। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সেগুলি উদ্ধার করে। অধ্যক্ষ জানান, ১০ জানুয়ারি কলেজের হিসাবরক্ষক ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হয়েছিলেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এ দিন যে আলমারি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে, সেই আলমারিটি হিসাবরক্ষক ব্যবহার করতেন বলেই দাবি তাঁর। অধ্যক্ষের দাবি, হামলার সময়ে পুলিশ আলমারির চাবি তাঁকে দিয়েছিল। তারপর থেকে তিনি আলমারি খোলেননি। ইউজিসি থেকে পাওয়া অর্থ কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার ভাউচার, বিলের খোঁজে তিনি এ দিন আলমারি খুলেছিলেন বলে জানান অধ্যক্ষ। তখনই আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ দেখতে পান। কৌটোর মধ্যে একটি কাগজে কিছু লেখা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অধ্যক্ষের বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত কোনও চক্র কাজ করছে। ১০ জানুয়ারির কয়েক দিন পরে কলেজে চুরির ঘটনাও ঘটেছিল বলে অভিযোগ। আলমারির নথিপত্র লন্ডভন্ড করা হয়েছিল। ওই সময়ে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা খোওয়া যায় বলে অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের।
ন’হাটা প্রতিবাদী মঞ্চের আহ্বায়ক তথা কলেজের শিক্ষাকর্মী প্রদীপ সরকার বলেন, “কলেজের দুর্নাম করতে একটি চক্র সচেষ্ট। আমরা কলেজের সুনাম ফিরিয়ে আনবই।” কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য নিশিত বালা বলেন, “কলেজটিকে শেষ করতে চক্রান্ত চলছে। শীঘ্রই আমরা তা ধরে ফেলব।” বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা পঙ্কজ ঘোষের কথায়, “এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কী অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে!”