এখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ দু’টি। নিজস্ব চিত্র
মুরগির খামার থেকে উদ্ধার হল যুগলের দেহ।
মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানার কুন্দিপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম বিজন বিশ্বাস ওরফে সমরেশ (২৩) এবং স্বপ্না বিশ্বাস (২৫)। পুলিশ দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই দু’জনে আত্মহত্যা করেছেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্বপ্নার মামাশ্বশুরের ছেলে বিজন। বছর সাতেক আগে কুন্দিপুরের বাসিন্দা স্বপ্নার সঙ্গে বিয়ে হয় গাঁড়াপোতার বাসিন্দা অনুপের। তাঁরা ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। পাঁচ বছর একটি শিশুকন্যা রয়েছে। অনুপ কর্মসূত্রে কেরলে থাকেন। সমরেশের বাড়ি কাছেই ট্যাংরা এলাকায়। স্বপ্নার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি দুই বাড়ির লোকজন সে কথা জানতে পারেন। যা নিয়ে অশান্তি চলছিল।
স্বপ্না বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে মা ভক্তির সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন স্বপ্না। ভক্তি সাঁতরা জানান, ভোরে ঘুম ভেঙে দেখেন, মেয়ে ঘরে নেই। বাড়ির অন্যদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন ভক্তি। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খবর নিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে সেখানেও যায়নি। মা-বাবা খুঁজতে বেরোন। চোখে পড়ে, পাশেই মুরগির খামারের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দু’জনের দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মুরগির খামারটি স্থানীয় বাসিন্দা সুকোমল কর্মকারের। খামারে এখন মুরগি ছিল না। বাঁশের আড়া থেকে স্বপ্নার শাড়ির ফাঁসেই দু’জনের দেহ ঝুলেছিল। পা অবশ্য মাটিতে ভাঁজ করা অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, স্বপ্নার স্বামী অনুপের মঙ্গলবারই কেরল থেকে বাড়ি ফেরার কথা। তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বামী জেনে যাবেন, এই আশঙ্কা থেকেই তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান।