Coronavirus

বাঘ দিবসে পুরস্কার নিতে দিল্লি যাওয়া হল না দুই বনকর্মীর

প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস। এ বছরও সারা ভারতবর্ষের ৫০টি টাইগার রিজার্ভ এলাকা থেকে ৬ জন বনকর্মীকে বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রদান করার জন্য।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০৩:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

ব্যাঘ্র দিবসে পুরস্কার পেয়েও তা আনতে না পারায় আক্ষেপ সুন্দরবনের দুই বনকর্মীর। বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে বন, বন্যপ্রাণ, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় নজির সৃষ্টি করায় তাঁদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে।

Advertisement

প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস। এ বছরও সারা ভারতবর্ষের ৫০টি টাইগার রিজার্ভ এলাকা থেকে ৬ জন বনকর্মীকে বেছে নেওয়া হয় পুরস্কার প্রদান করার জন্য। ওই ৬ জন বনকর্মীর মধ্যে ২ জন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরের কর্মী। যা সুন্দরবন বাসীর জন্য আনন্দের ও গর্বের।

সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরের অধীন জাতীয় উদ্যান পূর্ব রেঞ্জের বনকর্মী সুকুমার মণ্ডল বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন। অন্য দিকে, জাতীয় উদ্যান পশ্চিম রেঞ্জের বনকর্মী নিরঞ্জন গিরি সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষার জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন।

Advertisement

প্রতি বছর এই দিনে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (ভারতের জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ) বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী বনকর্মীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়। করোনা-আবহে এ বছর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। তার উপরে চলছে লকডাউন। ট্রেন, বিমান চলাচলও থমকে।

ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে সরকারি ভাবে কোনও অনুষ্ঠান হচ্ছে না। ওই দুই বনকর্মীর জন্য জাতীয় পুরস্কারের নগদ এক লক্ষ টাকা, শংসাপত্র, মেমেন্টো ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

এ বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রতিদিনই ব্যাঘ্র দিবস। আমাদের বনকর্মীরা সারা বছরই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে ব্যস্ত থাকে। লকডাউনের কারণে আমাদের দুই বনকর্মী জাতীয় পুরস্কার নিতে যেতে পারেননি। ওই পুরস্কার তাদের হাতে কী ভাবে তুলে দেওয়া যায়, তা দেখা হচ্ছে।’’

সরকারি ভাবে বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান না করা হলেও বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। তারা বাঘ সংরক্ষণে জন্য মানুষকে সচেতন করতে জল, জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীর তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে।

কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, ‘‘সুন্দরবনকে বাঁচাতে হলে বাঘ বাঁচাতে হবে। বাঘ বাঁচলে তবেই জঙ্গল বাঁচবে। জঙ্গল বাঁচলে মানুষ বাঁচবে না হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। বাঘ বাঁচাতে তাই আমরা তথ্যচিত্র তৈরি করেছি, মানুষকে সচেতন করতে। সারা দেশে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement