সিপিএমের বৈঠকে যাওয়ায় মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার এবং নির্বাচনী কর্মী বৈঠকে যোগ দেওয়ায় কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তাম্বুলদহ ১ পঞ্চায়েতের বিবিরাবাদ এলাকায়। তবে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৬ ০২:৫৭
Share:

দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার এবং নির্বাচনী কর্মী বৈঠকে যোগ দেওয়ায় কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তাম্বুলদহ ১ পঞ্চায়েতের বিবিরাবাদ এলাকায়। তবে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি।

Advertisement

ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। ওই এলাকায় ঠিক কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন সব কিছু নির্বাচন কমিশনের আওতায়। কেউ যদি নিজে অশান্তি করেন, তা হলে দল তার দায়িত্ব নেবে না। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী আজিজার রহমান মোল্লার সমর্থনে বুধবার সন্ধ্যায় তালদিতে সিপিএম কার্যালয়ে কর্মী বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে বাগমারি গ্রাম থেকে গিয়েছিলেন মোজাম্মেল মোল্লা, মুজিদ লস্কর-সহ কয়েকজন সিপিএম কর্মী। অভিযোগ, এ দিন সকালে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ওই সিপিএম কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। মারধর করে। ‘আক্রান্ত’ সিপিএম কর্মীরা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে বিবিরাবাদের কাছে তাঁদের পথ আটকে ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত মোজাম্মেল ও মুজিদকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

সিপিএম প্রার্থী আজিজার রহমান মোল্লার অভিযোগ, ‘‘আমার নির্বাচনী বৈঠকে বাগমারি গ্রামের কিছু কর্মী যোগ দিয়েছিলেন। তাই তৃণমূল নেতা এবং প্রার্থী সওকত মোল্লার লোকজন তাঁদের মারধর করেছে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।’’

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী সওকতের পাল্টা দাবি, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। নেহাতই গ্রাম্যবিবাদ। কথা কাটাকাটির সময়ে চড় মারা হয়েছে বলে শুনেছি।’’

আগুনে পুড়ে মৃত্যু বধূর। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায় হাবরা থানার সালতিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম রিঙ্কু চক্রবর্তী (৩৫)। ওই মহিলার আত্মীয় মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই হাবরা থানায় রিঙ্কুদেবীর স্বামী ও শ্বশুর শাশুড়ির নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই ওই মহিলার স্বামী নিলয় চক্রবর্তী, শাশুড়ি দেবী এবং শ্বশুর গোপালকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রিঙ্কুদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় নিলয়ের। নিলয় গোয়া, উত্তরাখণ্ড সহ নানা রাজ্যের হোটেলে কাজ করতেন। কয়েক বছর আগে গোয়ায় নিলয় তাঁর স্ত্রীকে নিয়েই থাকতেন। কিন্তু খরচে চালাতে না পারায় স্ত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। তাঁদের একটি ছেলে। কিছু দিন আগে নিলয়ের কাজ চলে যায়। বাড়িতে ফিরে নেশা শুরু করেন। তা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিঙ্কুদেবীকে বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করত। কয়েক বার ওই তরুণী বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন। দিন কয়েক আগে তিনি ফের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তাঁর মা মারা গিয়েছেন। বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সাংসারিক অশান্তির জেরে রান্না ঘরে রিঙ্কুদেবী শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে মারা যান রিঙ্কু। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement