বৃক্ষরোপণ শান্তনুর, কটাক্ষ তৃণমূলের

মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে বৃক্ষরোপণ শুরু করলেন সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। ক’দিন আগে তাঁর বিরুদ্ধেই গাছ কাটায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৩
Share:

গাছ-পোঁতা: ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে বৃক্ষরোপণ শুরু করলেন সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। ক’দিন আগে তাঁর বিরুদ্ধেই গাছ কাটায় মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। তাই শান্তনুর এই বৃক্ষরোপণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন মতুয়া ভক্তেরা। রাজনৈতিক মহলেরও বিষয়টি নিয়ে তাই মত।

Advertisement

সোম-মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে কামনাসাগর-সংলগ্ন এলাকায় গাছের চারা লাগিয়েছেন শান্তনু। নিজে হাতে কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে বৃক্ষরোপণ করেন। তাঁর স্ত্রী সোমা ও ছেলেও গাছ লাগিয়েছেন।

অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ’দুয়েক মেহগনি গাছের চারা পোঁতা হয়েছে। শান্তনু নিজে হাতে কুড়িটি গাছ পুঁতেছেন। শান্তনু বলেন, ‘‘ওঁরা (তৃণমূল) আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, আমি নাকি গাছ কেটে ঠাকুরনগর সাফ করে দিয়েছি। গাছ লাগিয়ে ওঁদের বোঝালাম, কারা বৃক্ষপ্রেমী। ওঁরা তো একটিও গাছ কখনও লাগাননি। আগেও আমি গাছ লাগিয়েছি।’’ তাঁর অভিযোগ, যশোর রোডে যখন গাছ কাটা হল, তখন তো কোনও প্রতিবাদ করেননি তৃণমূল নেতারা। বরং চুপ করেই ছিলেন।

Advertisement

৩ ফেব্রুয়ারি গাইঘাটা থানায় তৃণমূল নেতা ধ্যানেশনারায়ণ গুহ গাছ কাটায় মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন শান্তনু, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, ও তপন সিংহের বিরুদ্ধে। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা আলাদা ভাবে ওই একই বিষয়ে থানায় স্মারকলিপি দেন। অভিযোগ ছিল, ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার মাঠ তৈরি, মঞ্চ তৈরি ও হেলিপ্যাড তৈরির জন্য গাছ কাটা হয়েছে। মুকুল-শান্তনুদের নির্দেশে ওই গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

যদিও বিজেপির তরফে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর সভার ভিড় দেখে তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কোথাও গাছ কাটা হয়নি। কয়েকটি ডাল অনুমতি নিয়েই কাটা হয়েছিল।

শান্তনুর গাছের চারা লাগানোর বিষয়ে ধ্যানেশ বলেন, ‘‘এর থেকে প্রমাণিত হল, ওঁরা গাছ কেটেছেন। তাই এখন গাছ লাগাচ্ছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement