জরুরি পরিষেবা ছাড়া পথে বেরনো সকলকে বিসর্জন পর্যন্ত নিয়ম মানতে হবে। ফাইল ছবি
পুজোর মুখে কোথাও নিকাশি নালার কাজ চলছে, কোথাও চলছে রাস্তা সম্প্রসারণ বা উড়ালপুলের কাজ। তার মধ্যেই আজ, মঙ্গলবার থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ শুরু করছে ট্র্যাফিক পুলিশ। যা জরুরি পরিষেবা ছাড়া পথে বেরনো সকলকে বিসর্জন পর্যন্ত মানতে হবে।
সোমবার ব্যারাকপুরে পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণের কথা জানান। মণ্ডপে মাত্রাতিরিক্ত আওয়াজ এবং ডিজে যাতে বাজানো না হয়, তা-ও বলা হয়। মণ্ডপে শিশু ও প্রতিবন্ধীদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। এ দিন পুলিশের পক্ষ থেকে গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করা হয়।
তবে বেহাল পথে যান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে দমদমের সাংসদ সৌগত রায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল ব্যারাকপুর-বারাসত রোড পুজোর আগে সংস্কারের জন্য পূর্ত দফতরের কাছে তিনি আবেদন জানান। ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছেও রাস্তা সারানোর প্রসঙ্গ ওঠে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, কমিশনারেট এলাকায় মোট ২৭০৪টি পুজোর মধ্যে ২১১৭টি পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। এ দিনের বৈঠকে ২৫টি পুজো কমিটিকে সেই চেক দেওয়া হয়। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকিদেরও চেক দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, মণ্ডপে ঢোকা-বেরনোর প্রশস্ত পথ, অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৯৮৭৪৪৪৭৯২৯ নম্বরে যোগাযোগ করলে পুলিশ সাহায্য করবে। কৃষিমন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনুদান বাড়িয়ে সরকার পুজো কমিটিগুলিকে উৎসাহ দিয়েছে। তবে পুলিশ-প্রশাসনের সমস্ত বিধিনিষেধ মানতে হবে।’’