তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাসন্তীতে, আটক ২০

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধীন। কোনও পক্ষের থেকেই অভিযোগ হয়নি। এলাকা থেকে ৮টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাসন্তী শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৭ ০৩:০০
Share:

টহল: বাসন্তীতে। নিজস্ব চিত্র

জমি বিবাদকে ঘিরে দুই পরিবারের গোলমাল গড়াল তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে। চলল গুলি, পড়ল বোমা। শুক্রবার সকালে বাসন্তীর খেড়িয়া এলাকায় এই ঘটনায় জখম হন প্রায় ৮জন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাঁদের লক্ষ্য করেও বোমা, গুলি ছোড়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দু’পক্ষেরই ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসাধীন। কোনও পক্ষের থেকেই অভিযোগ হয়নি। এলাকা থেকে ৮টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কোনও ভাবেই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। এরপরেও দিকে দিকে গোষ্ঠীকোন্দল দেখা যাচ্ছে। এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের সহ-সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘বাসন্তীর এই ঘটনাকে দল সমর্থন করে না। যারা এলাকায় গণ্ডগোল করছে দল তাঁদের উপর নজর রাখছে। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’ পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি বলেন।

Advertisement

কী ঘটেছিল?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাসন্তীর খেঁড়িয়াতে আহমেদ সর্দার ও মামুদ আলি সর্দারের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। মামুদ বাসন্তী ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আমান লস্করের অনুগামী। আহমেদ বাসন্তী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মন্টু গাজির অনুগামী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ বাধে। ওই বিবাদকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল বাধে তৃণমূলের আমান লস্কর ও মন্টু গাজির লোকজনের মধ্যে।

অভিযোগ, এ দিন রাতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি মন্টুর অনুগামীরা আমান লস্করের অনুগামীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর ও ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে আমানের লোকজন পাল্টা মারধর করে ব্লক তৃণমূল কর্মীদের বলে অভিযোগ। এরপরই গণ্ডগোল বড় আকার নেয়। শুরু হয় বোমাবাজি। গুলিও চলে। খবর পেয়ে এসডিপিও ধ্রুব দাস, সিআই রতন চক্রবর্তী পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সে সময় দু’পক্ষকেই সরিয়ে দেয় পুলিশ।

পরে যুব তৃণমূল নেতৃত্ব বাসন্তীর কালীপদ মোড়ে ক্যানিং-বাসন্তী রোড অবরোধ করেন। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে যুব তৃণমূল সভাপতি আমানের লোকজনেরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে যুব তৃণমূল সভাপতি আমান বলেন, ‘‘ভাঙড়ে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তুতি বৈঠক করছিলাম। ওই বৈঠক ভেস্তে দিতে ব্লক তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমরা তার প্রতিবাদ করলে আমাদের কর্মীদের মারধর করে ওরা।’’

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মন্টু গাজি বলেন, ‘‘এলাকা দখল করতে যারা সিপিএম, আরএসপি থেকে আমাদের দলে যোগ দিয়েছে, সেই সব নতুন ব্যক্তিরা যুব তৃণমূলের হাত ধরে আমাদের উপর হামলা করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement