খুনের ঘটনার ষোলো দিন পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রতীকী ছবি।
শাসকদলের মহিলা কর্মী খুনে তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর দাবি করলেন ক্যানিংয়ের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোপালপুরের এই খুনের ঘটনার ষোলো দিন পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাতে ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামে একটি আলুক্ষেত থেকে সুচিত্রা মণ্ডল (৪৮)-এর গলাকাটা দেহ পাওয়া যায়। রক্তাক্ত দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। যে আলুক্ষেত থেকে সুমিত্রার গলাকাটা দেহ পাওয়া গিয়েছিল, মঙ্গলবার সেখানে যায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা।
এই খুনের ঘটনার পর থেকেই গোপালপুর এলাকা থমথমে। এলাকার পুলিশি টহলদারি চলছে। তবে খুনের পর ষোলো দিন পার হয়ে গেলেও কোনও গ্রেফতারি না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গোপালপুরের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সুমিত্রা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁদের দাবি, আবাস যোজনার কাজে এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথিপত্রও সংগ্রহ করছিলেন সুমিত্রা। তা নিয়ে এলাকার তৃণমূলের একাংশের ক্ষোভ ছিল। সে কারণে তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্কর-সহ তৃণমূলের একাংশের দাবি। মদনের আরও দাবি, ‘‘সুমিত্রা মণ্ডলের খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সুমিত্রার পরিবারও তা-ই চায়। আমরাও এই দাবি করছি।’’