তুষার সিংহ
মারা গেলেন বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা তুষার সিংহ। বুধবার সকালে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল মাত্র আটচল্লিশ বছর।
বাদুড়িয়া পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনারপুর গ্রামে বাড়ি তুষারের। বিপদে আপদে হাসিখুশি মানুষটির কাছে গেলেই সাহায্য মিলত বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বহু মানুষ। এক হাতে বাদুড়িয়া বিধানসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় কর্মীদের সামলানোর পাশাপাশি বাদুড়িয়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়ে গত পাঁচ বছর ধরে বাদুড়িয়ার পুরপ্রধানের পদ সামলেছেন তুষার।
এর আগে অবশ্য তিনি কাউন্সিলর ছিলেন। পুরপ্রধান হিসাবে গত পাঁচ বছরে বাদুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। অনেকেই জানাচ্ছেন, সকলের কথা শুনে সকলের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন তুষার। স্পষ্ট বক্তা হিসাবে তাঁকে জানতেন সকলে।
কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তুষার। দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলমত নির্বিশেষে শোকস্তব্ধ বাদুড়িয়ার রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেসের বিধায়ক আব্দুর রহিম দিলু বলেন, ‘‘রাজনীতির পরিচয় না দেখেই তুষারবাবু মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। বাদুড়িয়ার মানুষ ওঁকে মনে রাখবে।’’ বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা ও বাদুড়িয়া পুরসভার কাউন্সিলর সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন মুখোমুখি বসে উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে সব সময়ে নিজের দাদার মতো শ্রদ্ধা করতেন।’’ বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পালের কথায়, ‘‘রাজনৈতিক ভেদাভেদ থাকলেও তুষারবাবু আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’’ তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীরা এ দিন এসেছিলেন বাদুড়িয়ায়। ইদ্রিস জানান, ‘দক্ষ সংগঠক’ তুষারকে হারিয়ে জেলার রাজনীতিতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।