Dilip Ghosh

‘১৫ লক্ষের জন্য অপেক্ষা করে অনেকে তো উপরে চলে গেল’! মোদীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে মন্তব্য দিলীপের

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদীর গলায় শোনা গিয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকার ‘গ্যারান্টি’র কথা। বিদেশ থেকে কালো ধন ফিরিয়ে এনে দেশবাসীকে সেই টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৪
Share:

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

২০১৪ লোকসভা ভোটে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার পর দুটো লোকসভা ভোট কেটে গিয়েছে। আবার একটি লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দেশ। তবে মোদীর দেওয়া অ্যাকাউন্টে-অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও বিরোধীদের লব্জে টাটকা। ওই নিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপিকে নিশানা করছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের সেই কটাক্ষের প্রসঙ্গ উঠতেই ফুঁসে উঠলেন দিলীপ ঘোষ। তার পর যে মন্তব্য করলেন, তা নিয়েও আবার শুরু হল বিতর্ক। তৃণমূলের কটাক্ষ, এই সব কথা বলে সাধারণ মানুষকে অপমান করছেন বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনে যান নির্বাচনী প্রচারে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। সেখানে বিরোধীদের ‘১৫ লক্ষ টাকা’ কটাক্ষ নিয়ে দিলীপের জবাব, ‘‘১৫ লক্ষ টাকার অপেক্ষা করে অনেকে তো উপরে চলে গেল! আমরা ১৫ কোটি টাকার কথা বলছি।’’ তিনি কোন ১৫ কোটি টাকার কথা বলছেন, তা আর পরিষ্কার করেননি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে নির্বাচন কমিশনের শো-কজ়ের পরেও দিলীপ আছেন দিলীপেই। তার পর উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়েও ‘আলগা’ মন্তব্য করেছেন। আবার ১৫ লক্ষ টাকা ইস্যুতে দিলীপের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কেউ নরেন্দ্র মোদীর কাছে টাকা চাইতে যাননি। তিনি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ‘কালো টাকা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনব’। তার পর প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে। সুতরাং, নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই কথা বলেছিলেন। কিন্তু, দিলীপ এ রকম বাজে কথা বলে মানুষকে অপমান করছেন। মানুষকে উত্তেজিত করছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ভোটপ্রচারে মোদীর গলায় শোনা গিয়েছিল ১৫ লক্ষ টাকার ‘গ্যারান্টি’র কথা। বিদেশ থেকে কালো ধন ফিরিয়ে এনে দেশবাসীকে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে। এ নিয়ে পরবর্তী কালে বিরোধীরা যখন কটাক্ষ করেছিল, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যুক্তি দেন, ওটা ভোটপ্রচারের কথা। এ ভাবে টাকা দেওয়া যায় না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement