আইএসএফ নেতাকে মারধরের অভিযোগে উত্তপ্ত ভাঙড়। — নিজস্ব চিত্র।
আবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের অভিযোগে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। সরকারি অফিস থেকে এক আইএসএফ কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আইএসএফ কর্মীকে দিয়ে জোর করে ভিডিয়ো করিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
নতুন বিডিও দায়িত্ব নিয়েছেন ভাঙড় ১-এ। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বুধবার বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন এলাকার আইএসএফ কর্মীরা। সেখানে বিডিওর ঘরের সামনে যখন তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন তখনই গোলমাল শুরু। আইএসএফের অভিযোগ, সেখানে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা এসে তাঁদের হুমকি দিতে শুরু করেন। ভাঙড় ১ ব্লকের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের আইএসএফের সম্পাদক রাহুল মোল্লাকে বিডিও অফিস থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। রাহুলের অভিযোগ, তাঁকে দিয়ে জোর করে একাধিক ভিডিয়োও করিয়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। যে ভিডিয়োয় রাহুলকে বলতে হয়েছে, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। রাহুলের দাবি, তাঁকে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও ভিডিয়োয় কথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
রাহুল বলেন, ‘‘নতুন বিডিওকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। তৃণমূলের নেতা আলাউদ্দিন চৌধুরী আমাকে লোকজন দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। খুব মারধর করে। আমাকে দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকির বিরোধিতা করে ভিডিয়ো করানোর চেষ্টা করেছিল। মারের মুখেও আমি তা করিনি। আমার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। আমাকে রাজনীতি করতে বারণ করে দিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। থানায় গেলে খুন করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছে। ওখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর হাসপাতালে যাই। তার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
তৃণমূল নেতা আহসান মোল্লা বলেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনার কথা শুনিনি। ভাঙড়ে আইএসএফের কোনও চিহ্ন আমি দেখতে পাই না। এটা সবাই জানে। ওরা বার বার এ রকম অভিনয় করে খবরে আসার চেষ্টা করে। মিথ্যা কথা বলে তৃণমূলের বদনাম করার চেষ্টা করছে।’’
আইএসএফের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।